স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
আসছে বাজেটে অতিরিক্ত করের চাপ না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। ঢাকা চেম্বার আয়োজিত বাজেটপূর্ব আলোচনায় তারা বলেন, চড়া করপোরেট কর হার ব্যাহত করছে বিনিয়োগ। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে।
পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি আর করোনা থেকে উত্তরণের রূপরেখা বাস্তবায়নের পথে কেমন হওয়া দরকার আসছে বাজেট- সেই প্রশ্ন সামনে রেখেই সব পক্ষকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বাজেটপূর্ব আলোচনার আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার।এতে কর ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাত, অবকাঠামো ও শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ে আলাদা প্রস্তাব তুলে ধরেন বক্তারা। তারা বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় টিকে থাকতে যেখানে সবচেয়ে বেশি দরকার সময়োপযোগী নীতি সহায়তা, সেখানেই প্রতিনিয়ত হোঁচট খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানের সমালোচনা করা হয় চড়া করপোরেট কর হারের। বক্তারা বলেন, এই ব্যবস্থা প্রতিযোগী এবং পাশের দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকায় পিছিয়ে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। আর্থিক খাতের উন্নয়নে নানামুখী প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, মন্দাঋণ বৃদ্ধির পেছনে বড় কারণ পুঁজিবাজার ও বিমাখাতকে শক্তিশালী করতে না পারা।এসময় সার্বিক ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন, কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, অবকাঠামো ও আর্থিক খাতের সংস্কারে আসছে বাজেটে উদ্যোগ আশা করে ঢাকা চেম্বার। এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের গুণগত উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথাও বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আমলাতন্ত্রের সংকট স্বীকার করে বলেন, এর শতভাগ সমাধান বন্দী সীমাহীন সময়ের হাতে। তবে চেম্বারের প্রস্তাব আমলে নিয়ে আশ্বাস দেন আসছে বাজেটে সেসবের খানিকটা প্রতিফলনের। অনুষ্ঠানে সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন, বন্দর ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার দাবিও তুলে ধরা হয়।