আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরোঃ স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে তরুণদের রাজনৈতিক উত্থানের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। তবে হাতে গোনা কয়েকজন নেতাই বৃহত্তর রাজনীতির ইতিহাসে অনন্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। চারঘাট-বাঘা আসনের গণমানুষের আস্থাভাজন, জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাহসী মুখ আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল তাঁদেরই একজন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা হয়। ঐতিহ্যবাহী হাবিবুর রহমান শাখা ছাত্রদলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন তিনি। সততা, নেতৃত্বগুণ ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে দ্রুত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং যুবদলের সদস্য সচিব পরবর্তীতে রাজশাহী জেলা বিএনপির পর পর দুইবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভা ও ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। এ সময় তিনি দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলনকে শক্তিশালী ও কার্যকর রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজশাহী-৬ আসন (চারঘাট-বাঘা) নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিএনপির এই সাবেক ছাত্রনেতা। বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এলাকায় অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ও মানবিক কর্মকাণ্ডে তিনি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। দুর্গাপূজা চলাকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে মন্দিরগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা—সবখানেই তিনি ছিলেন সক্রিয়। ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থা ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। দলের ডাকা প্রথম অবরোধ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান—সব আন্দোলনেই জীবন বাজি রেখে অংশ নেন তিনি। গত ১৭ বছরে একাধিকবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন, তবু কোনো রক্তচক্ষু তাঁকে দমাতে পারেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে তিনি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বিভিন্ন আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিলেন। জনগণের সেবক হওয়ার স্বপ্ন চারঘাট-বাঘা আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল এখন অন্যতম আলোচিত নাম। মানবিক কাজের মাধ্যমে তিনি স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি। জীবনের শৈশব, কৈশোর সবকিছু দলের জন্য বিলীন করেছি। আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের কল্যাণে আমাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, আমি সেখানেই কাজ করব। কে প্রার্থী হবেন, তা দলের সিদ্ধান্ত। আমি কেবল একজন রাজনৈতিক কর্মী, জনগণের সেবক হতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “আমি এই অঞ্চলের কাদা-মাটি লেপ্টে বড় হয়েছি। এই জনপদের মাটির ঘ্রাণ আমার গায়ে লেগে আছে। যদি মানুষ চান, আমি তাঁদের সেবক হব।” চারঘাট-বাঘা উপজেলার মাটি ও মানুষের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা এই সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবদল নেতা বিশ্বাস করেন—মনোনয়ন পেলে বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে একটি মানবিক সমাজ গঠনে তিনি কাজ করবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রবিউল ইসলাম। নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ নাইবুর রহমান। বার্তা সম্পাদক : মোঃ জাকিরুল ইসলাম
দৈনিক আলোচিত কণ্ঠ কর্তৃক সকল স্বত্ত্ব সংরক্ষিত