বিপ্লব পাল,সিলেট : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় আদালতের ১৪৪ ধারা আইন ভঙ্গ করে ভূমি দখল ও গৃহ নির্মাণের অভিযোগের শেষ নেই। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ জুন বিশ্বনাথ থানার সিঙ্গেরকাছ ইউনিয়নের সিংরাওয়ালী গ্রামের ভুক্তভোগী শানুর আলীর বাড়ীতে। খোজ নিয়ে জানা যায়, একই গ্রামের প্রভাবশালী টুনু মিয়া গং শানুর আলীর পৈতৃক ভূমি দখল করে ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। তখন ভুক্তভোগী শানুর আলী আদালতে শরণাপন্ন হলে আদালত গত ৮ এপ্রিল তারিখে ১৪৪ ধারা জারী করে এবং উভয়পক্ষকে ভূমির কাগজপত্র আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। তবে এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদক সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে ভুক্তভোগী শানুর আলী জানান, উক্ত ভূমি আমাদের পৈতৃক বা মৌরশী। শানুর আলী এসএ ফর্সা মূলে মালিক বলে জানান এবং ভূমিখেঁকো টুনু মিয়া জানান, উক্ত ৪৬ শতক ভূমি আমাদের ক্রয়কৃত। কিন্তু টুনু মিয়া রহস্যজনক কারণে বিএস ফর্সা ছাড়া এসএ ফর্সা ও দলিল দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার তদন্তকারী অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, প্রায় ৩ মাস পূর্বে মামলা হয়েছে কিন্তু ভূমিখেঁকো টুনু মিয়া গং তাদের ক্রয়কৃত জমির দলিল বা এসএ ফর্সা দেখাতে পারেননি। এদিকে আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে পুনরায় গত ২০ জুন উক্ত ভূমির উপর পাকাঁ ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে সাথে সাথে ভুক্তভোগী শানুর আলী বিশ্বনাথ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদক বিশ্বনাথ থানার ওসি'র সাথে আলাপ করলে ওসি জানান, বিষয়টি আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ভোক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামি পক্ষকে বলে ঘরের কাজ চালিয়ে যেতে এবং বাদী পক্ষকে ধমক দিয়ে বলে তুমি এখানে কথা বলতে এসো না, কথা বললে তোমারই সমস্যা হবে, তাহারা কাজ চালিয়ে যাক তুমি প্রয়োজনে আদালতে যাও। এমতাবস্থায় টুনু মিয়া গং খুব দ্রুত রাতে—দিনে কাজ করিয়ে অবৈধ পাঁকা ঘর নির্মাণ করে। জানা গেছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আইনের হাত বন্ধ করে অবৈধ ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করে। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা জানায়, আমি ঘর নির্মাণের জন্য আদেশ দেইনি। তবে এ ব্যাপারে বাদী শানুর আলী জানান, তদন্তকারী পুলিশ যদি নির্দেশ না দেয় তাহলে আসামি পক্ষ অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের সাহস পায় কি করে। বিষয়টি সিলেট পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ করার প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও পুলিশ সুপার কতৃর্ক আমাকে বা বিবাদী টুনু মিয়া গং দের রহস্যজনক কারণে ডাকা হয়নি। বিষয়টি সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিবে কি করে পুলিশের কাছে গেলে শুধু ধমক ও ধামাচাপা কথা। এদিকে এ ব্যাপারে শানুর আলী আদালতের শরণাপন্ন হলেও আদালত শুধু তারিখ’ই পরিবর্তন করে আসছে বলে জানান। তিনি তার পৈতৃক ভূমি ফিরে পাওয়ার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে পুলিশ ও আদালতের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না। এদিকে আসামী পক্ষ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে হুমকী দেয়ার পরেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রবিউল ইসলাম। নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ নাইবুর রহমান। বার্তা সম্পাদক : মোঃ জাকিরুল ইসলাম
দৈনিক আলোচিত কণ্ঠ কর্তৃক সকল স্বত্ত্ব সংরক্ষিত