পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ
বাংলাদেশের প্রথম জেলা হিসেবে প্রসবজনিত ফিস্টুলা মুক্ত জেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েয়ে। আজ দুপুরে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন অফিস চত্বরে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে ল্যাম্ব হাসপাতাল যৌথভাবে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় জেলাকে আনুষ্ঠানিক জেলা হিসেবে ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের পরিচালক ড. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।
পঞ্চগড় জেলায় প্রসব জনিত ফিস্টুল রোগী পাওয়া যায় ৬০ জন। এর মধ্যে ৫০ জনকে অপারেশন ও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করা হয়। এর মধ্যে ১৯ জনকে আতœকর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষন দিয়ে আত্মকর্মশীল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ১০ জন ফিস্টুলা মুক্ত নারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রসবজনিত কারণে ফিস্টুলায় আক্রান্ত জয়নব বেগম নিজের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। উপস্থিত অতিথিদের উত্তরীয় ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফিস্টুল জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া ১০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন। এদের প্রত্যেককে চাদর প্রদান করা হয়। ফিস্টুলা মুক্ত রাখতে হলে প্রসবপূর্ব সেবা (এএনসি) ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা (আরএইচএম) বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে ফিস্টুলা মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
জেলায়ি দুই লাখ ৮৩ হাজার ১৪৯ জনের উপর জরীপ চালিকে আটোয়ারী ও বোদায় দুইজন করে চার জন ফিস্টুলা রোগী পাওয়া যায়। এদের অপারেশ ও চিকি’ৎসা দিয়ে সুস্থ্য করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম,ল্যাম্ব হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অফিসার ও পরিচালক (সার্জন) ডা. ক্রিস এডওয়ার্ড, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লিটন বালা, পরিচালক বাপন মানকিন, সমাজ সেবা অধিপ্তরের উপ পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিনিধি ডা. অনিমেষ বিশ^াস, জেলা বিএমএর সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. পিতাম্বর রায়. সাধারণ সম্পাদক ডা. মনসুর আলম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও মূল বিষয় উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা. তোফায়েল আহমেদ সজিব।