নিজস্ব প্রতিবেদকঃপ্রচুর সম্ভবনা থাকা সত্ত্বেও কেরু চিনিকলে ২০২০-২১ আখ রোপণ মৌশুমে চাষী ও নিজস্ব খামারের জমি মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক রোপণ করতে পেরেছে। পাশাপাশি নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও পার্শ্ববর্তী মোবারকগন্জ চিনিকলে শুধুমাত্র চাষির জমিতেই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক জমিতে আখ রোপন করেছে।
মোবারকগন্জ চিনিকলে ২০২০-২১ রোপন মৌশুমে ১০ হাজার একর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১২ এপ্রিল’২১ পর্যন্ত চারা এবং মুড়ি দিয়ে ৪ হাজার ৮ শত একর আখ চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিলের জি, এম কৃষি জনাব আশরাফুল আলম। চাষির জমিতেই উল্লেখিত পরিমান জমিতে আখ রোপণ হয়েছে।
এদিকে একই সময় পর্যন্ত কেরু চিনিকলে চাষির জমিতে ৩ হাজার ৬ শত ৫৬ একর এবং কোম্পানীর নিজস্ব খামারে ৯ শত ৫৯ একর আখ চাষ হয়েছে। সর্বমোট ৪ হাজার ৬ শ’ ১৫ একর। কেরু চিনিকলে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৩ শত ৫০ একর। প্রচুর সম্ভবনার পরও কেরু চিনিকলে আশানুরুপ রোপন না হওয়ায় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন কেরু চিনিকলে কর্মরত কর্মকর্তা শ্রমিক, কর্মচারীরা প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসের নিদৃষ্ট সময়েই পাচ্ছে, আখ চাষীদের আখ বিক্রির টাকা যথা সময়ে চাষিরা পেয়েছে,সার কীটনাশকের অভাব ছিল না তারপরও কেন এ বিপর্যয়? অথচ পার্শ্ববর্তী মোবারকগন্জ মিলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ৩/৪ মাস বন্ধ থাকে, চাষীর আখ বিক্রির টাকা আজও যেখানে বাকি আছে, সার কীটনাশক ক্রয়ের টাকাও যাদের নেই , তাদের নিজস্ব ছোট একটি ৫০ একরের খামার তারা কিভাবে চাষীর জমিতেই ৪৮০০ একর রোপন করতে সক্ষম হলো? কেরুতে যেখানে ৯ টি বানিজ্যিক ও ১ টি পরীক্ষামুলক খামারে ৩ হাজারেরও বেশি জমি আছে সেখানে খামারে মাত্র ৯ শ’ ৫৯ একর রোপণ হয়েছে। খামার এবং চাষির জমি মিলিয়েও মোচিকের সমপর্যায়ে পৌছাতে পারেনি। এর প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করা দরকার এবং দায়ি কর্মকর্তা কর্মচারীকে অন্য মিলে বদলী করে সেখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীকে কেরুতে আনার যুক্তিও দেখিয়েছেন অনেকে। তাহলে অন্য মিলের হাহাকার যে কেমন তা উপলব্ধি করতে পারবে।যেহেতু কেরুতে প্রতি মাসের নিদৃষ্ট তারিখে বেতন, বোনাস সহ বেতনের অগ্রিম পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে তারপরও কি কারনে এবং কেন আখ রোপনে অবনতি ঘটেছে তার কৈফিয়ৎ চেয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এভাবে আখ রোপন কম হতে থাকলে শুধু চিনি ইউনিট নয় একমাত্র লাভজনক দর্শনা ডিস্ট্রিলারীও কাঁচা মালের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে। ইক্ষু বিভাগের মাথা ভারি প্রশাসনকে নতুন করে সাজাতে না পারলে দিন দিন অবনতি হবে এমনটাই ধারনা করছে অভিজ্ঞ মহল।