পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ
হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে জেকে বসেছে তীব্র শীত। তীব্র শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বইছে হিমেল বাতাস। পৌষের শুরু থেকে প্রকৃতির এমন খেলায় দূর্ভোগে পড়েছে জেলার ছিন্নমুল ও নি¤œ আয়ের লোকজন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, জেলার শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ২১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার অসংখ্য ছিন্নমুল ও নি¤œ আয়ের লোকজনকে তীব্র শীতে একটু উষ্ণতা দিতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দেশের উত্তরের হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলা পঞ্চগড়। জেলা শহর থেকে পর্বতশৃঙ্গ হিমালয় খুব নিকটে হওয়ায় ও ভৌগলিক কারণে জেলায় শীতকালে তীব্র শীত অনুভুত হয় একই সাথে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। একই কারণে দীর্ঘসময় শীত বিরাজ করে। এদিকে গত দশদিন ধরে জেলায় ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওঠা-নামা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
গত ক’দিনের তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জেলার ছিন্নমুল ও নি¤œ আয়ের লোকজন বিপাকে পড়েছে। তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই কাজে বেরুতে না পেরে অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে ঠান্ডা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করায় শহরের ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের দোকানে ভির করছে নি¤œ আয়ের লোকজন।
সদর আধূনিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ জানায়, তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে গত কয়েকদিনে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র ঠান্ডা ও মৃদু শৈতপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছেন জেলার স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা বলছেন, এবারের ঠান্ডায় হাত-পা কুকড়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিনে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শহরের লেপ-তোষক ও পুরনো মোটা কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে।
গত কয়েকদিনে জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলায় গড় তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। বর্তমানে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে বলে জানান তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের এই আবহাওয়া সহকারি কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
তীব্র শীত ও ঠান্ডার কারণে গত কয়েকদিনে জেলায় শীত জনিত স্বর্দি,কাশি, কোল্ড ডায়রিয়া,নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই শীতে ঠান্ডা, বাসী, মোটা কাপড় পরিধান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক। ডাক্তার সিরাইউদ্দৌলা পলিন , আবাসিক মেডিকেল অফিসার পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতাল পঞ্চগড় ।
মোঃ জহুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, পঞ্চগড় বলেন জেলার শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ২১ হাজার কম্বল জেলার ৫ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান পঞ্চগড় জেলার এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
শীতের কবল থেকে শীতার্ত মানুষদের একটু উষ্ণতা দিতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে সমাজের ছিন্নমুল ও নি¤œ আয়ের লোকজন ফেলতে পারে স্বস্তির নিঃম্বাস। তবেই সার্থক হবে মানুষ মানুষের জন্য এই চিরন্তন উক্তিটির।
পঞ্চগড়/ ২১ ডিসেম্বর ২০২১