মোঃ মামুন হোসেন বেনাপোল ঃ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে
দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু গৃহিণী নয়, বরং নিজের সাহসী চেষ্টায় একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় কলকাতার একটি পাঁচতারকা হোটেলে নারী উদ্যোক্তা সাহিদা রহমান সেতু’কে বলিউড তারকা বিপাসা বসুর কাছ থেকে বিশেষ সম্মাননা পাওয়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়েজন করে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার শার্শা উপজেলা শাখা কমিটি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সংস্থার সহ সভাপতি আঃ জলিল এর সঞ্চালনায় ও সভাপতি
আলহাজ্ব এইচ এম আবুল বাশারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন সাহিদা রহমান সেতু, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক গ্রামের সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল মুননাফ ও শাহিনা রহমান গিনি। এসময় অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সংস্থার সবাই।
এসময় প্রধান অতিথি নারী উদ্যোক্তা সাহিদা রহমান সেতু বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের একজন নামী বলিউড অভিনেত্রীর হাত থেকে নারী উদ্যোক্তার জন্য এমন সম্মননা পুরুস্কার পাওয়া কত যে আনন্দের তা ভাষায় প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার সব সময় ইচ্ছে ছিল আমি নারী হলেও আমি যেন নারী উদ্যোক্তা এলাকায় কিছু করি। তাই আমার বাবার প্রেরণা নিয়েই ভেবে দেখলাম
বেনাপোলে এমন কিছু করতে হবে যা বেনাপোলে নেই একই সাথে সেটার মাধ্য দিয়ে
অনেক পরিবার চলতে পারে। কিন্তু কি করব ভাবতেই মনে হলে আমাকে এমন কিছু
করতে হবে যা বেনাপোলে খুব বেশি প্রয়োজন কিন্তু নেই। স্বপ্নটাকে বাস্তবে পরিনত করতে রহমান চেম্বর নামে কেনাকাটার অত্যাধুনিক সুপার মডেল মার্কেটে প্রতিষ্ঠিত করলাম। শুরু করলাম সানরুপ, ফার্মেসীসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। বর্তমান আমার এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি কর্মসংস্থান খুঁজে পেয়েছে। এবং যারা এখানে কাজ করছেন তাদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ আমি বহন সহ
নানামুখি সুবিধা দেওয়ার চেষ্ঠা অব্যাহত আছে। সরকারি নিবন্ধনকৃত জাতীয়
সাংবাদিক সংস্থার শার্শা উপজেলা শাখা কমিটির আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উন্নত বন্দরনগরী বেনাপোলে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা এমনই গুণী, সাহসী, পরিশ্রমী ও সৃজনশীল ব্যক্তি উদ্যোক্তা সাহিদা রহমান সেতু। তিনি বেনাপোলে গড়ে তুলেছেন রহমান চেম্বার নামে এক বিশাল ব্যবসায়ী বাজার। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহ-সেক্টর কমান্ডার, প্রয়াত আলহাজ মশিউর রহমাণের অনুপ্রেণায় বাবার আদর্শকে ধারণ করে এমন উদ্যোগ হাতে নেন সাহিদা রহমান
সেতু। বাংলাদেশের সীমান্ত নগরীর দৃষ্টিনন্দন মেগা প্রকল্প এটি বলা যায়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, সাংগঠনিক
সম্পাদক এস এম মারুফ, কোষাধাক্ষ্য শরীফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদ্বীন বাবু,
মফিজুর রহমান, বাবুল, ইব্রাহীম, মামুন, মেহেদী হাসানসহ অনেকে।,