সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সদ্য হয়ে যাওয়া ৩ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে বিজয়ী প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থক মো. নয়ন মিয়াকে হত্যা করে সাজালেরকান্দি গ্রামের রাস্তার পাশে লাশ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সনমান্দি ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মারবদি গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনকে এলাকাবাসী আটক করে সোনারগাঁও থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
নিহত মো. নয়ন মিয়া উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মারবদি গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।
নিহত নয়ন মিয়ার স্ত্রী মানছুরা আক্তার জানান, গত শুক্রবার রাতে তার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি। রাতে একাধিক বার ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে সাজালেরকান্দি গ্রামের রাস্তার পাশে নয়ন মিয়ার লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী তাদের খবর দেয়।
তিনি আরো বলেন গত ২৮ নভেম্বর ৩ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সনমান্দি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য প্রার্থী ফিরোজ মিয়া পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করেন। পরে ভোটের দিন ফিরোজ মিয়া পরাজিত হন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ভোটে বিজয়ী হন। এ নির্বাচনী ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মো. নয়ন মিয়াকে প্রকাশ্যে মেম্বার দেলোয়ার হোসেন ও তার সমর্থকরা তাদের বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। নির্বাচনে দেলোয়ার হোসেন বিজয়ী হওয়ার পরই তার স্বামী তাদেরকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
এ দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও লোকজন জড়ো হলে সেখানে দেলোয়ার হোসেন মেম্বার উপস্থিত হলে স্থানীয় গ্রামবাসী হত্যাকান্ডের সঙ্গে দেলোয়ার জড়িত স্লোগান ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় দেলোয়ার হোসেনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দাবি করে স্থানীয়রা ইউপি সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে।