স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ মানলেন না নিয়োগ বোর্ড এমন অভিযোগ করের ভুক্তভুগী প্রার্থীরা।
গত ১৫ ডিসেম্বর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার নিলেন আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ড। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৫ জানুয়ারী ও ২৯ নভেম্বর ২০২১ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে ২৭ জন আবেদন করেন। উক্ত নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আবেদনকারীর একজন সহকারী জজ আদালত বাউফল পটুয়াখালীতে ১১৭/২১,১১৮/২১ ও ৮৬০/২১ মামলা রুজু করেন। জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেন। অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নিয়োগে দুনীর্তির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। মামলা ও অভিযোগ উপেক্ষা করে ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার কারনে একজন সদস্য মহামান্য হাইকোর্ট ১১৯৭৭/২১ রিট পিটিশন দাখিল করলে মাহামান্য হাইর্কোট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য মোঃ আবুল হোসেন গাজী ২ নভেম্বর অভিযোগ নিস্পতিত্ত জন্য ১৩ ডিসেম্বর আদেশ/রায় প্রদান করেছেন। ঐ রিট পিটিশনে শিক্ষা সচিব মহাপরিচালক মাউশি,উপ-পরিচালক, জেলা প্রশাসক,পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার পটুয়াখালী ও প্রধান শিক্ষক পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৯ জনকে বিবাধী করা হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ উপপেক্ষা করে ১৫ ডিসেম্বর ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।অভিযোগে আরো জানাযায় পটুয়াখালী বাউফলে উপজেলার আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কে কেন্দ্র করে সভাপতির বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর ম্যানেজিং কমিটি ক্ষিপ্ত হন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব না দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক কে নিয়োগ পরিচালার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঐ ধর্মীয় শিক্ষক বিধি বহির্ভুভাবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছে।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্য বন্ধ করার জন্য ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য মহামান্য হাইকোর্টে ১১৯৭৭/২১ রিট পিটিশন দাখিল করায় মহামান্য হাইকোর্ট ১৩ ডিসেম্বর রায় ঘোষনা করেন। ঐ রায়ের কারনে ১৫ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের জন্য ঐ সদস্য ১৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার,উপ জেলা নির্বাহী অফিসার বাউফল,উপজেলা মাধ্যামিক অফিসার বাউফল, প্রধান শিক্ষক পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিকট আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী নিকট ১৫ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইন শাখার মতামত নিয়ে পরবর্তীতে পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করে। তিনি ১৫ ডিসেম্বর পরিক্ষা স্থগতি করে মাউশির আইন শাখার মতামত নিয়ে পরবর্তীতে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ১৪ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা অফিসার পটুয়াখালী ও প্রধান শিক্ষক পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় এর নিকট আবেদন করেন। কিন্তু উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থাগিত করে ১৫ ডিসেম্বর ৪টায় পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে। আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুঠোফোনে বলেন পটুয়াখালী সরকারী জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সকাল ৯টা ও পোনে ১১টায় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা হাইকোর্টের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থগতি করেছিলেন। ঐ দিন ১১টার পরিক্ষায় ২২জন অংশগ্রহনকারীকে অনুপস্থিত রেখে বিকাল ৪টায় ৫জন প্রার্থীর পরিক্ষা কি কারনে নিয়েছেন তা আমার জানা নাই। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা পরবর্তীতে নেওয়া জন্য আমি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। উক্ত বিষয়ে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার সত্যতা স্বীকার করেছে। পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুল মান্নান মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদককে জানায় হাইকোর্টের কোন নির্দেশনা আমরা পাইনাই এবং ২৭জন প্রার্থী আবেদন করেছে তার মধ্যে ৫ জন অংশগ্রহন করেছে। ডিজির প্রতিনিধি মন্ত্রষালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।