মোঃ সাইদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নে অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) শ্রমিকদের নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ভুল তথ্য প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২শে জানুয়ারী) দুপুর বেলা চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম রেজা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একটি স্বার্থলোভী মহল তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমার নামে নানান প্রকারের গুজব ছড়াচ্ছে। অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসুচির (ইজিপিপি) আওতায় যেসব শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে আমি নাকি অর্থের বিনিময়ে পুরাতন সকল শ্রমিকদের বাদ দিয়ে তাদের নিয়োগ দিয়েছি বলে নানান ধরনের কুৎসা রটাচ্ছে যা সত্যিই অনেক নিন্দনীয়। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন কিন্তু কতিপয় কিছু সাংবাদিক প্রকৃত ঘটনা না জেনেই ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি চাই সাংবাদিকরা প্রকৃত তথ্য জানুক।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে আমি ইউএনও মহদয়ের সাথে পরামর্শ করেছি। তিনি নতুন ও পুরাতনদের সমন্বয়ে শ্রমিক নিয়োগের পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন পুরাতন শ্রমিক ২০ শতাংশ ও নতুন শ্রমিক ৮০ শতাংশ রাখতে। সেখানে আমি পুরাতন শ্রমিক রেখেছি ৪০ শতাংশ ও নতুন শ্রমিক রেখেছি ৬০ শতাংশ। পুরাতন শ্রমিক যাদের বাদ দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই বৃদ্ধ যারা কাজ করতে অক্ষম । এছাড়া যাদের আগে নিয়োগ করা হয়েছিল তারা আর্থিকভাবে ছিল স্বাবলম্বী। এবার যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তারা সবাই অসচ্ছল তারা কাজটি পাওয়ার যোগ্য। আপনারা কেউ যদি দেখাতে পারেন যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে একজনও কাজটি পাওয়ার যোগ্য নয় তারপর এসে আমাদের বলেন। এছাড়া অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) সুবিধাভোগী যাচাই-বাছাই ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় যারা এই নিয়োগের ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে।’
টাকার বিনিময়ে শ্রমিকদের নিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন,‘পুরাতন শ্রমিক যারা বাদ পড়েছেন আমার প্রতিপক্ষরা তাদের হাতিয়ার বানিয়ে আমার নামে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের কে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে মিডিয়ার সামনে কথা বলতে বাধ্য করছে। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার ইউনিয়নে স্বচ্ছতার সাথে এই কর্মসূচির শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার কথা যারা বলছে তারা টাকা লেনদেনের একটি প্রমান দেখাক। প্রমান দেখাতে পারলে প্রশাসন আমাকে যা শাস্তি দিবে তা মেনে নিতে আমি রাজি আছি। আর অপপ্রচার কারীদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা ভালো কাজ করতে না পারেন সমস্যা নেই কিন্তু ভালো কাজে বাধা দিয়েন না। আসেন আমার কাছে বলুন আপনাদের সমস্যাগুলো সমাধানে করে আমরা একসাথে কাজ করি। এরপরও তারা যদি আমার নামে অপপ্রচার চালানো বন্ধ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’
এসময়, চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মফিজুল ইসলাস, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ইজিপিপি’র প্রকল্পের ওই ইউনিয়নে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার নৃপেন্দ্রনাথ রায়, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যরা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় ৪০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে ২৪৬ জন অসচ্ছল মানুষ কাজ করছে।