মোঃ খলিলুর রহমান সাতক্ষীরা ::
অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ ও বিষ দিয়ে মাছ শিকার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার নদী ও খালে অপরিকল্পিতভাবে বাগদা-গলদা চিংড়ি পোনা আহরণ ও বিষ দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকারের মহাউৎসব চলছে,আর এভাবে অপরিকল্পিতভাবে রেণু পোনা আহরণ ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের মৎস্য ভাণ্ডার,সুন্দরবনের খালে মাছ ধরার জন্য বিষ দিয়ে চোরা মৎস্য শিকারিরা নষ্ট করছে বিভিন্ন মাছের পোনা,অন্যদিকে বনের অভ্যন্তরে অপরিকল্পিতভাবে নেট জাল দিয়ে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করার সময় নষ্ট হচ্ছে অন্যান্য মাছের পোনা,সুন্দরবন বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে নির্বিচারে পোনা আহরণ ও বিষ দিয়ে মাছ শিকার অব্যাহত থাকলে আগামী এক দশকের মধ্যেই সুন্দরবন থেকে ২০০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে,সুন্দরবনের ভিতরে বিভিন্ন এলাকার খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে বিভিন্ন সময় বনরক্ষীদের হাতে চোরা শিকারিরা আটক হলেও থেমে নেই বিষ দিয়ে মাছ শিকারের এ মহা উৎসব,আর এভাবে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি রেণু আহরণের ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের মৎস্য ভাণ্ডারসহ বন্যপ্রাণী।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের ১ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার জলাভূমির মধ্যে ৮০০ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র উপকূল ও বনের অভ্যন্তরে জলাভূমির আয়তন ৯৬০ বর্গকিলোমিটার,মাত্র কয়েক বছর আগে এসব জলাভূমিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাছের উৎপাদন ছিল ৪ টনের বেশি,বছরজুড়ে বনের অভ্যন্তরে অপরিকল্পিতভাবে নেট জাল দিয়ে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ ও বিষ দিয়ে মাছ আহরণ করায় নষ্ট হচ্ছে অন্যান্য মাছের পোনা,এছাড়াও সুন্দরবনে বন বিভাগের মাধ্যমে মৎস্য খাত থেকে প্রতি বছর ২ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়,অপরিকল্পিতভাবে পোনা আহরণ ও মাছ শিকার করায় রাজস্ব আয়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি ঘাটতি হচ্ছে বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদের। কয়েক বছর আগেও দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করলেও এখন উপকূলীয় অঞ্চলের হাটবাজারে সামুদ্রিক মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। খাদ্যের সন্ধানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় এসে বনের অভ্যন্তরের নদী-নালা-খাল-বিল ও হ্রদের এসব বিষাক্ত পানি পান করে অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে,আর এভাবে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রজনন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে,সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও অপরিকল্পিতভাবে রেণু পোনা আহরণ রোধে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও অপরিকল্পিতভাবে রেণু পোনা আহরণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বন বিভাগকেই নিতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে সুন্দরবনের মৎস্য ভাণ্ডার রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা হারুন অর-রশীদ বেপারী জানান, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধে বন বিভাগ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে চোরা শিকারিদের আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে,এ ছাড়াও বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধে সুন্দরবনের জেলেদের নৌকায় আমরা নিয়মিত তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছি।