মোঃ কামাল হোসেন খাঁন মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি: স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুরের অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা আবাসন নির্মাণ প্রকল্পে’র আওতায় (প্রথম পর্যায়ে) ৩০ জন পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘বীর নিবাস’। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১১ জন, মুজিবনগর উপজেলায় ৭ জন ও গাংনী উপজেলায় ১২ জনসহ মোট ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার নামে এই বীর নিবাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ‘অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মেহেরপুর জেলায় ৪ কোটি ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার । ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের এই বাড়ি নির্মাণের জন্য লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাণগুলো কার্যাদেশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে ঘর নির্মাণ শুরু করেছেন। প্রথম পর্যায়ে গাংনী উপজেলায় বীর নিবাস পাওয়া ১২ জন মুক্তিযোদ্ধারা হলেন কাথুলি গ্রামের রমজান আলী, মাইলমারী গ্রামের হাবিবুর রহমান, নওদা মটমুড়া গ্রামের মো: কামরুজ্জামান, সাহেবনগর গ্রামের মো: নুরুল আমিন, গাংনী পৌর শহরের শিশিরপাড়া গ্রামের আব্দুল বারী, বেতবাড়িয়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের মেয়ে রশিদা খাতুন, ষোলটাকা গ্রামের হজরত আলী, ভাটপাড়া গ্রামের রুহুল আমীন, নিশিপুর গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুন, সাহারবাটি গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা পাকা উল্লাহর ছেলে মো: অঅজিজুল হক, চরগোয়াল গ্রামের মো: এজের আলী ও বেতবাড়িয়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হোসেন। জানা যায়, মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে তৃণমূল পর্যায়ে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী সরকার উপজেলা প্রশাসনকে যাচাই বাছাই করে অস্বচ্ছল (যাদের জমি আছে ঘর নেই) বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় যাচাই বাছাই করে বিভিন্ন গ্রামের অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রেরণ করেন। সুপারিশকৃত তালিকা থেকে সরকার মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার ৩০জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।প্রথম পর্যায়ে ৩০ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীর নিবাস নির্মাণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও পাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, প্রায় ৬ শতাংশ জমির উপর ৬৩৫ বর্গফুট আয়তনের প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণে সরকার ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেছেন, জেলার বিভিন্ন এলাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যাছাই বাছাই করার পর ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘরের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দকৃত ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ব্যবস্থার আওতায় আনবে সরকার।