মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ঔষুধ ও সার্জিকাল সামগ্রী ক্রয়ের জন্য টেন্ডার বাক্সে পোড়া মবিল ঢেলে দেওয়ার পর আবারো টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষদিন নিধার্রন করা হয়েছে । এবার যেন কেউ নাশকতা করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের দরিদ্র রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে ঔষুধ সরবরাহ ও অপারেশন সহ অন্যান্য প্রয়োজনে সার্জিক্যাল সামগ্রী গজ ব্যান্ডেজ,লিলেন সামগ্রী ক্যামিকেল ও আসবাবপত্র ইত্যাদি ৬টি গ্রুপে মালামাল সরবরাহের জন্য প্রথম দফা দরপত্র আহবান করা হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে । এ জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি টাকা। সেবার দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ।ঐ দিন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের দোতালার বারান্দায় দুটি টেন্ডার বাক্স রাখা হয় । বেলা ১২ টার কিছু পূর্বে ১০-১২ জন যুবক অকস্মাৎ টেন্ডার বাক্সে পোড়া মবিল ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ লাবু নামে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় । এর ফলে বাক্সে ফেলানো ৬৭টি দরপত্র প্যাকেট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় টেন্ডর বাতিল করা হয় । পরবর্তীতে পুনরায় দরপত্র আহবান করা হয়।বুধবার দুপর পর্যন্ত এবার ১২৩টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে এবং দরপত্র জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার(১০ ফেব্রুয়ারী) দুপুর পর্যন্ত।
হাসপাতাল সূত্র জানায়,এবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একটি এবং হাসপাতাল প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে একটি বাক্স বসানো হবে । হাসপাতালের ডা.সাজ্জাদ হায়দার শাহিনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট টেন্ডার কমিটি গঠন করা হয়েছে।সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যাতে স্বাচ্ছন্দে দরপত্র জমা দিতে পারে সেজন্য টেন্ডার কমিটি তৎপর রয়েছে।
এবার যাতে কেউ পোড়া মবিল জাতীয় দ্রব্য ফেলে সিডিউল নষ্ট করতে না পারে সেজন্য টেন্ডার কমিটির পক্ষ থেকে প্রশাসনিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। টেন্ডার বাক্স ঘিরে কেউ যেন নাশকতা করতে না পারে সেজন্য পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা.নুর নেওয়াজ।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়,ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের ঔষুধ সহ সার্জিক্যাল সামগ্রী বেশিদামে সরবরাহের জন্য একটি মহল দরপত্র গ্রহিতাদের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা চালায়।কিন্তু ২–১টি প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও জেলার দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে সমঝোতায় রাজি না হলে দরপত্র বাতিলের জন্য পোড়া মবিল ঢেলে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়।