সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তদন্ত দ্রুতই শেষ করা সম্ভব হবে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাব কোনো মামলার তদন্ত সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে করে থাকে। চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যা মামলাটিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মামলার তদন্তে যেসব তথ্য উপাত্ত ও আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার, তা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে র্যাব। এ মামলার তথ্য-উপাত্ত প্রমাণের জন্য সরকার এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে যে, আলামত পরীক্ষা করতে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে সময় লেগেছে। আমরা মাত্র কিছুদিন আগে পেয়েছি। তদন্ত চলমান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত নিয়ে খারাপ লাগার কিছু নেই। র্যাব সবসময় চেষ্টা করে তদন্তে যেন নিরীহ নিরপরাধ মানুষ দোষী সাব্যস্ত না হয়। মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে সবসময় আদালতকে অবহিত করছি। আমরা চাই, মামলাটি দ্রুত শেষ হোক এবং নিরপরাধ কেউ সাজা না পান।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। এর মধ্যে মামলার বিচার, চার্জশিট তো দূরের কথা, ১০ বছরে তদন্তই শেষ হয়নি। ৮৫ বার সময় নিয়েও তদন্তকারীরা আদালতে প্রতিবেদন দিতে পারেননি। এ পর্যন্ত ৮৬ বারের জন্য সময় চেয়েছেন। সবশেষ গত ২৪ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অ্যাডিশনাল এসপি খন্দকার শফিকুল আলমের আবেদনে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালত।