চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে আজ রোববার। জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদটি আপাতত শূন্য রয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার আদালত ওই পদে স্থিতাবস্থা জারি করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। সেখানেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।
ফলে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসীন হচ্ছেন এ নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন সুপ্রিমকোর্টের দিকে।
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ।
পরে নির্বাচনি আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যদিকে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা ও মজিবুল হক ভূঁইয়া।
আইনজ্ঞরা জানান, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। তবে রায়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ পান। এ ক্ষেত্রে রায় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।