আইপিএলের নিলামে আরও একবার উঠল সাকিব আল হাসানের নাম। কিন্তু ভাগ্যের বদল হলো না এবারও। প্রথম দিনে অবিক্রিত বাংলাদেশের অলরাউন্ডারকে দ্বিতীয় দিনেও নিল না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বেঙ্গালুরুতে নিলামের শেষ দিনের শেষ ধাপ ‘অ্যাকসিলারেটেড অকশন।’ এই ধাপের দ্বিতীয় পর্বে অবিক্রিত ক্রিকেটার ও বাকি থাকা অন্য ক্রিকেটারদের মধ্যে যাদের প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগ্রহ আছে, তাদের তালিকা নিয়ে আবার নাম তোলা হয়। এখানে দ্বিতীয় নামটিই ওঠে সাকিবের।
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে এই তালিকা পাওয়া বলে এবার তার দল পাওয়ার বাস্তব সম্ভাবনাই ছিল। কিন্তু ২ কোটি ভিত্তিমূল্যের ক্রিকেটারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।
২০১০ আসরের পর তাই প্রথমবার আইপিএলের নিলাম থেকে হতাশ হতে হলো সাকিবকে। এখন তার খেলার সুযোগ আছে কেবল চোট বা অন্য কোনো কারণে কেউ অনুপস্থিত থাকলে সেই ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে।
বাংলাদেশের লিটন কুমার দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের নামই ওঠেনি নিলামে। নিলাম থেকে আইপিএলে এবার তাই বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান। নিলামের প্রথম দিনে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে বাঁহাতি পেসারকে দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
সাকিব এখন ব্যস্ত বিপিএলে। টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সোমবার তিনি ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দেবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। এই ম্যাচের আগে টানা ৫ খেলায় ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে তিনি গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। এই পারফরম্যান্সের প্রভাব যে আইপিএল নিলামের টেবিলে পড়েনি, সেটি এখন স্পষ্টই।
গত আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে বাজে পারফরম্যান্সই হয়তো কাল হলো তার। ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ৯.৪০ গড় ও ৯৭.৯১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন মোট ৪৭, উইকেট নিয়েছিলেন স্রেফ ৪টি।
সাকিব দল না পেলেও প্রথম দফায় অবিক্রিতদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় দল পাওয়া উল্লেখযোগ্য নাম ডেভিড মিলার, ঋদ্ধিমান সাহা, ম্যাথু ওয়েড, অ্যালেক্স হেলস ও ক্রিস জর্ডান।