এসকে এম হুমায়ুন নিজস্ব প্রতিবেদক বাগেরহাটের মৎস্য অবতরন কেন্দ্রগুলি এবং বিভিন্ন হাটবাজারে বন্যপ্রাণীর তফশিলভূক্ত বিপন্ন প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ ও হাঙ্গর জাতীয় আহরণ নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ব্যাপকভাবে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বন্যপ্রানী অপরাধ দমন ইউনিট,ঢাকা এর বন পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিকের নেতৃত্বে একটি টিম বাগেরহাট জেলা প্রশাসক,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাগেরহাট তথা দক্ষিণের অন্যতম সামুদ্রিক মৎস্য অবতরন কেন্দ্র কেবি বাজার মৎস্য আড়ৎদার সমিতি,ট্রলার মালিক সমিতি এবং মৎস্য বাজার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে সাক্ষাত করে মতবিনিময় করেন। এসময়ে ট্রলার মালিক,জেলে,এবং আড়ৎদারেরা এই মাছের আইন সম্পর্কে আগে না জানার কারনে এই মাছ বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেন।তবে এখন থেকে আর এই মাছ আহরণ,বিক্রয় এবং মজুদ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এসময়ে উপস্হিত ছিলেন বাগেরহাট এর বিশিষ্ট চিকিৎসক ও পরিবেশ কর্মী ডাঃ মোশাররফ হোসেন,কেবি মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবেদ আলী,স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউর রহমান মন্টু,সাংবাদিক সোহেল রানা বাবু সহ অন্যান্য আড়ৎদার ও ট্রলার মালিক ও জেলেগণ। সভায় পরিদর্শক আব্দুল্লাহ্ আস সাদিক এই মাছ যাতে আর বিক্রি না হয় তার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেন। এই সময়ে ব্যাপকভাবে মাইকিং এর মাধ্যমে শাপলাপাতা ও হাঙর মাছ বিক্রয় বন্ধে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দেন এবং এর পরে এই মাছ কেও ক্রয় বিক্রয় করলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার কথা ঘোষনা দেন।