মেয়ের মতো করেই গৃহকর্মীর বিয়ে দিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী
রাব্বী চৌধুরীঃ নিজের মেয়ের মতো করে জাঁকজমক পরিবেশে গৃহকর্মীর বিয়ে দিয়ে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এবং অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী।
রাজধানী পল্টনস্থ নিজ বাসায় ধুমধাম করে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ গৃহকর্মী বিজলী আক্তারের বিয়ে দিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। বাসা ও ছাদ রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হয়। পার্লার থেকে কনে সাজিয়ে আনা হয়। গতকাল বাড়ির ছাদে বিজলী আক্তারের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। উৎসব মুখর পরিবেশে বাড়ির লোকজন ও আগতরা আনন্দ উল্লাসে মাতেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুগত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী জানান, ছোট থেকেই বিজলী আক্তার গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। সে আমার মেয়ের মতই ছিলো। তাই আমি পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে মেয়েটি আমাদের পরিবারের সকলের সেবা দিয়ে এসেছেন এতদিন তাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের পছন্দসই ছেলে দেখে এবং সেই ছেলের চাকুরী নিশ্চিত করে আজ বিবাহ সম্পন্ন করলাম। আমার একমাত্র সন্তান দিদার এর অফিসে ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী নিশ্চিত করে এবং গহনা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী দিয়ে আমি নিজ উদ্যোগে এই বিবাহ সম্পন্ন করলাম। নিজেকে ভালো লাগছে নিজ দায়িত্বে বিজলীর বিয়ে দিয়ে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি পরিবার যাদের বাসায় গৃহপরিচারিকা আছেন তাদের যদি বিবাহ দেওয়ার দায়িত্ব নেন তাহলে আজ সমাজে কোন ভেদাভেদ থাকবে বরং ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন তৈরি হবে। উদারতার প্রতীক হিসেবে এই সমাজে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে।আজ বিজলী নিজেও কেদেছে এবং আমাদেরসহ অন্যদেরও কাঁদিয়েছে। আজ আগত অতিথিরাও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী আরো বলেন, গৃহকর্মীকে যেন কেউ অত্যাচার-নির্যাতন না করেন। কারণ যারা গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে সেই পরিবারের সন্তানরা কখনও আদর্শ মানুষ হতে পারে না। গৃহকর্মীর ওপর নির্যাতনের খবর যখন শুনি-তখন ভাবি মানুষ এত নিষ্ঠুর কেন? যারা নিজেরকে বিসর্জন দিয়ে আমাদের সেবা করেন তাদের প্রতি সহনশীলতা ও উদারতা দেখানোই হবে প্রকৃত মানুষের পরিচয়।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির অন্যতম সদস্য মুজিবুর রহমান, এম মিজান সরদার, মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক রাব্বী চৌধুরী, আজিজুর রহমান কিসলু, এ বি এম সিরাজুল হক সাজিদসহ প্রমুখ।