লিপন খান,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর আঠারবাড়ীয়া গ্রামের প্রায় শতাধিক দুস্থ, অসহায় পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে,তারা অভাবের তাড়নায় ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছেন। সাজনপুর আঠারবাড়ীয়ায় অসহায় মানুষগুলো বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন। বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। গতকাল সকলে দুস্থ অসহায়দের কষ্ট বিবেচনায করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এলাকার শিক্ষিত, প্রতিবাদী ও কারানির্যাতিত যুবক সাংবাদিক জামশেদ আলী। এ কর্মসূচির মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘উন্নয়নের মডেল হোক ভিক্ষুকদের পূনর্বাসনের অঙ্গীকার’। প্রায় তিন শত অসহায়, দুস্থ ও ভিক্ষুক বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে জড়ো হন। তালিকার বাইরেও অনেকে এসে সাহায্য পাওয়ার জন্য কাকুতিমিনতি করেন। তবে কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সহায়তা নিতে আসা প্রত্যেককে জনপ্রতি দেওয়া হয় ১০কেজি চাল, এক কেজি মসুর ডাল, একটি করে নতুন শীতবস্ত্র (শাল) ও একটি করে লুঙ্গি। মৌলিক-মানবিক অধিকার বঞ্চিত নিকলী ও কটিয়াদী উপজেলার কয়েকটি গ্রামের এসব মানুষ এটুকু খাদ্য ও বস্ত্র সহায়তা পেয়েই ভীষণ খুশি হয়েছেন। জানা যায়, পরিস্থিতির স্বীকার তথা নিরুপায় হয়েই তাদের অনেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে এসেছেন। আঠারবাড়ীয়া গ্রামের সমাজকর্মী সাংবাদিক জামশেদ আলীর বসতবাড়িতে তারই উদ্যোগে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী নাসরুল আনোয়ার, সমাজসেবী মোঃ লাইছু মিয়া প্রমুখ। সাংবাদিক নাসরুল আনোয়ার তার বক্তৃতায় বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে কথিত সমাজপতিদের নানারকম নির্যাতন-নিপীড়ন নেমে আসে। তাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ভালো কাজের দৃষ্টান্ত দেখাতে হয়। জামশেদ আলী এমনই এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ’। তিনি বলেন, ‘তাই বলে এদের ভয়ে থেমে থাকলে চলবে না। জনহিতকর কাজে জামশেদদের মতো সৎ মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে’। আলোচনায় জামশেদ আলী সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এরকম সহায়হীন মানুষদের খাইয়ে-পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তাদের পূনর্বাসন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে শুরু করে ধনীদের খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’। তিনি সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের স্বার্থে সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।