

সুজন আলী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পূজামণ্ডপগুলোতে ছিল ভক্ত-অনুরাগীদের ভিড় ও উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রতিটি মণ্ডপে ঢাক-ঢোলের তালে তালে দেবী বিসর্জনের আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা। এ সময় নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দেন, উল্লাসে মেতে ওঠেন তরুণীরা, আর চারপাশ ভরে ওঠে “দুর্গা মা কি জয়” ধ্বনিতে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে সিঁদুর খেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম জনপ্রিয় আচার। পূজা অর্চনা শেষে মায়ের পায়ের কাছে সিঁদুর নিবেদন করে তা সংগ্রহ করেন নারীরা। পরে সিঁদুর মেখে দেন সখী-সঙ্গিনীদের কপালে, গালে ও হাতে। ভক্তদের বিশ্বাস—এই রীতি সৌভাগ্য, স্বামীর মঙ্গল ও পরিবারের শান্তি কামনার প্রতীক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন। নিরাপত্তার জন্য মণ্ডপ এলাকায় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর টহল ছিল জোরদার। উপজেলার ৫৫টি পূজামণ্ডপে একইভাবে উদযাপিত হয় সিঁদুর খেলা। দুপুরের পর থেকেই নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই অংশ নেন এই উৎসবে। অনেকে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে স্মৃতিময় করে রাখেন এ মুহূর্তকে। সন্ধ্যার দিকে নদী ও জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসব। ভক্তদের চোখে ছিল আনন্দের ঝিলিকের পাশাপাশি মায়ের বিদায়ের বেদনা। পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন হওয়ায় তাঁরা সন্তুষ্ট। এভাবেই সিঁদুর খেলার উচ্ছ্বাসে, প্রতিমা বিসর্জনের আবেগঘন পরিবেশে শেষ হলো রাণীশংকৈলের শারদীয় দুর্গোৎসব।