তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
পাহাড়ি ঢলে নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায়,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওর নজরখালী ঝুকিপূর্ণ বাঁধসহ উপজেলার বিভিন্ন ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন,তাহিরপুর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা,মোঃ রায়হান কবির ।
জানাযায় টাংগুয়ার হাওরের নজরখালী,নাউটানা,বাপপুতের খাল ও গইন্যাকুড়ি বাঁধটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আওতাভুক্ত না থাকায় প্রতি বছরই টাংগুয়ার হাওরের কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃমিঃ এর নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর টাংগুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির বাজেট স্বল্পতার কারনে,পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সুনামগঞ্জ জেলাধীন গুরমার হাওর বর্ধিতাংশ উপ-প্রকল্পের ২৪নং পি,আই,সি’র বাঁধটি নির্মাণ কাজ করেছে । বর্তমান পাহাড়ি ঢলে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে বাঁধটি খানিকটা দুর্বল হয়ে যাওয়ার এমন খবরে শুনে।
আজ সোমবার (২৮মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় ইউপি সদস্য গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ছুটে আসেন বাঁধ পরিদর্শনে।
পরিদর্শনের সময় উনি বলেন এই বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বাঁধ নয়,বাঁধটি প্রতি বছরই টাঙ্গুয়ার হাওর কেন্দ্রীয় সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে স্বল্প পরিসরে নির্মাণ করা হয়।এ বছর সমিতির কোষাগারে আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ায় সমিতির অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হয় না,তাই কৃষকের ফসল রক্ষার স্বার্থে কোনভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে একটি পি,আই,সি’র মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে।বাঁধে যে পরিমাণ মাটি দেওয়ার কথা সে পরিমাণ মাটি দেওয়া হয়নি।তিনি বাঁধের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সংশ্লিষ্ট পি,আই,সি ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ করেন যতটুকু সম্ভব বাঁধে শ্রমিক নিয়ে বাঁধটি টিকিয়ে রাখা যাহাতে কৃষকের ফসল রক্ষা হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,সাংবাদিক শামছুল আলম আখঞ্জী টিটু,সাংবাদিক আহম্মদ কবির,টাঙ্গুয়ার হাওর রংচি সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই, রংচি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল,বকুল মিয়া, প্রমুখ।