রেজওয়ানুল ইসলাম রনি, স্টাফ রিপোর্টার: দেশের সর্ব দক্ষিনের জেলায় অসাধারন ব্যক্তিত্ব ও মানবিকতায় সাধারণের জননেতা হিসেবে কোন সময় সামাজিক আবার কোন সময় রাজনৈতিক আগুন নিভিয়ে চলছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জনপ্রিয় মেয়র মুজিবুর রহমান। ২০১২ সালের ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কক্সাবাজার জেলার রামুতে ঐতিহাসিক ১২ টি বৌদ্ধ মন্দিরে ও প্রায় ৫০ টি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বসত -বাড়ীতে এক যোগে হামলা করা হয়। তৎকালীন কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান কক্সবাজার শহর থেকে সেদিন ছুটে গিয়েছিলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে প্রাণ বাজী রেখে তাদের প্রশমিত করার দু:সাহসকিতা দেখিয়েছিলেন।
ইনসেটের ছবিটি ২০১২ সালের রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার।
রামু উপজেলার জনৈক পরেশ বড়ুয়া বলেন, কক্সাবাজার জেলার বট গাছ হলো মুজিবুর রহমান। তিনি সবাইকে নিয়ে চলতে জানেন। নিম্ন থেকে উচ্চ সকল শ্রেণীর মানুষ তার কাছে যেতে পারে এবং তিনি চেস্টা করেন তাদের সমস্যা সমাধান করে দেয়ার। তবে, ইদানিং রাজনৈতিক কারণে তার ভালো কাজকেও খারাপ ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলায় এক শ্রেণীর রাজনীতিকদের মুখে তার সমালোচনা শোনা গেলেও তা রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য বলে শোনা যায়।
কক্সবাজার শহরের হোটেল -মোটেল জোনের বাসিন্দা মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, মুজিব বদ্দাকে যখন ডাকবেন তখনই পাবেন। তবে, শুনেছি তার জ্যাঠাতো ভাই পৌর আওয়ামীলীগের পদ পায় নি বলে বিভিন্ন রকম কথা বলছে। আমরা কাজ করে খাই তাই এগুলো নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই। তবে, মুজিবুর রহমানের মত নেতার কক্সবাজারে দরকার আছে। কেউ তার কাছ থেকে খালি হাতে ফেরে না।
এদিকে, গত ৮ তারিখে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মেয়র মুজিবুর রহমান। এরই মধ্যে, উপজেলা বাজার নামক একটি স্থানে পৌঁছালে রাস্তার মাঝে একটি মোটর সাইকেলে আগুন জ্বলতে দেখেন মেয়র মুজিব। ঘটনাস্থলে শত শত লোক উপস্থিত থাকলেও বেশীর ভাগ লোকই ছিলেন উৎসুক। এরই মধ্যে অনেকে ভিডিও বা ছবি তুললেও আগুন নেভানোর চেস্টা করেনি। ফায়ার সার্ভিসের আসার অপেক্ষা না করে তখন মেয়র মুজিবুর রহমান নিজেই সাথে কয়েক জনকে সাথে নিয়ে বাঁশ ও লোহার রড নিয়ে ঐ জলন্ত মোটর সাইকেলটি পাশের ড্রেনে ফেলে দেন। ড্রেনে পানি থাকায় আগুন কিছু ক্ষনের মধ্যে নিয়ন্ত্রনে আসে।
এ বিষয়ে মেয়র মুজিবুর রহমানকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব মানুষের সেবা করা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি, আমার মমতাময়ী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পথপ্রদর্শর্ণে। আমার রাজনীতি জনগনের জন্য, যত দিন বেঁচে থাকব তা অব্যাহত থাকবে। মানুষের কল্যানে কাজ করে যাব আমৃত্যু। এতে হয়ত অনেকে রক্ত চক্ষুর শিকার হবো তবে, উপরে মহান আল্লাহ তালা ও প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলার ষোল কোটি মানুষের শেষ আশ্রয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কারো কাছে মাথা নোয়বো না।