নয়ন ঘোষ
যশোরে একদিনে একই আদালতে ১৫ মামলার রায়যশোরে একদিনে ১৫টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে একটি আদালত। এরমধ্যে দু’টি মামলায় দু’জনকে সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাকি ১১ মামলায় ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। সোমবার যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি ভীমসেন দাস।
ফেনসিডিল চোরাচালানের একটি মামলায় তিন ব্যক্তির ১২ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের মৃত সাইফুদ্দিন খলিফার ছেলে আব্দুল হালিম,পুটখালী গ্রামের বরকত মন্ডলের ছেলে রমজান ও কলেজপাড়ার হোসেন গাজীর ছেলে কওসার আলী। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ৭ জুন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ জানতে পারে কলেজপাড়া এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ী মাদক চোরাচালানের জন্য অবস্থান করছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পুলিশ তাদের আটক করে। আটকের পর হালিমের হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে ৪০ বোতল, রমজানের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ১০ বোতল ও কওসারের হাতে থাকা ব্যাগ থেকে আরও ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই ওমর শরীফ বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় সোমবার তিন আসামিকে পৃথক মেয়াদে সাজা প্রদান করেন বিচারক।
আসামিদের মধ্যে হালিম ও কওসারের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। অপর আসামি রমজানকে দু’ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও একহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
আদালত সূত্র আরও জানায়, সোমবার একই আদালত সর্বমোট ১৫ টি মামলার রায় ঘোষণা করে। তারমধ্যে দু’টি মামলায় দু’জনের প্রত্যেকের এক বছর করে সাজাপ্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দেয়া হয়। বাকি ১১ মামলায় ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। তারা সকলেই পলাতক রয়েছেন। অপর দু’ মামলায় উপস্থিত দু’ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।