ডেস্ক রিপোর্ট:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ড. ইউনুসসহ আরো অনেকে যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো, তারা বিভিন্ন সময় অনেক বড় বড় কথা বলে, বিশ্বমন্দা, করোনা নিয়ে নসিহত করে, কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর তাদের মুখে আর কোনো কথা নেই।’
শুক্রবার ২৭ মে সন্ধ্যায় কক্সবাজারে জেলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
সেতুবিরোধীদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বিএনপিরই নয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে সিপিডি, টিআইবি এবং আরো যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, তাদেরও গাত্রদাহ হচ্ছে। আমি আমার চেয়ে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি গভীর সম্মান রেখেই বলছি, তিনি নিজেও হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি লিখেছিলেন যাতে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে, সেই অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।’
‘কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা সমস্ত ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের গর্বের সেতু নয়, শুধু পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সেতুই নয়, পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশ, আমাদের জনগণ ও সরকারের সক্ষমতার প্রতীক।
সমস্ত ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে যে এটি করা যায়, তা প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, বলেন তিনি। এসময় পদ্মা সেতুর সমালোচক বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের বিষয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণার পর সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পেছনে তারেক রহমানের হাত আছে কি না ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এমনকি হাইকোর্টের সামনে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সামনেও বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এগুলোর পেছনে নিশ্চয়ই তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত আছে।’
‘আমাদের কাছে যতটুকু খবর আছে, তারেক রহমান সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় যতো সন্ত্রাসী আছে, তাদেরকে ফোন করে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বলেছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদেরকেও বলবো, জনগণকে সাথে নিয়ে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারেক রহমান দুর্নীতি ও গ্রেনেড হামলার দায়ে একজন শাস্তিপ্রাপ্ত, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। দন্ড কার্যকর করার জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি পর্যায়ে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে। আর প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বুঝতে ব্যর্থ বিএনপির বেগম জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর জন্য জনগণই দাবি তুলেছে।’
কক্সবাজারের রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলা একাডেমীর মহা পরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ডেপুটি কমিশনার মো. মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।