স্টাফ রিপোর্টারঃভোলার বোরহানউদ্দিন দেউলা ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার অজুহাতে সৎ মা মনোয়ারা বেগম কর্তৃক শিশু তানিশা (৭) বেগমকে শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়।
তানিশার পিতা মোঃ হারুন জানান, গত ০৬ বছর পূর্বে আমার ১ম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় । আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর হইতে আমি ও আমার মেয়ে তানিশা আমার পিতার বাড়িতে বসবাস করি। পরবর্তীতে আমি মনোয়ারা বেগমের সহিত ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই । এর ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মনোয়ারা বেগম আমার মেয়ে তানিশাকে সন্তানের দায়িত্বভার নেওয়ার জন্য আমার পিতার বাড়ীতে আসে । আমি আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার মেয়েকে তার কাছে লালন পালনের দায়িত্বভার প্রদান করি ।
কিছুদিন পর মনোয়ারা বেগম আমার মেয়েকে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে অমানুষিক নির্যাতন করার সংবাদ পাই । উক্ত বিষয় আমি তার কাছে একাধিকবার জানতে চাইলে সে বিষয়টির কোন কর্নপাত না করে এড়িয়ে যায়।
গত ২৩ই জুন ( বৃহস্পতিবার) আনুমানিক বেলা ১১. ৩০ মিনিটে মোবাইল হারানোর অজুহাতে মনোয়ারা বেগম আমার মেয়ে তানিশার মাথার চুলের মুষ্টি ধরিয়া এলোপাতাড়ীভাবে মাটিতে ফেলে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে এবং লোহার প্লাস দিয়া তানিশার ডান হাতের তর্জনি আঙ্গুল টেনে রক্তাক্ত জখম করে । এরপর গাছের সাথে দিনভর বেধে রেখে অত্যাচার নির্যাতন করে। আমার মেয়ের ডাক-চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশীরা আসলে প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে । উক্ত ঘটনাটি আশপাশের লোকজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করে।
পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তানিশাকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তানিশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন ফকির (বিপিএম) জানান, ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে মনোয়ারা বেগম কে গ্রেফতার করেছি এবং মামলা রুজু করে কারাগারে প্রেরণা করা হয় ।