লৌহজং ( মুন্সীগঞ্জ ) প্রতিনিধিঃ লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এখন আর আগের মতো জমজমাট নেই। ঘাট সংলগ্ন হোটেলগুলোর রমরমা ব্যাবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মা নদীর ইলিশভোজী যাত্রীদের দামী দামী রং বে রংয়ের গাড়ি নিয়ে হেঁকে আসতে দেখা যায়না। হোটেল ও রেষ্টুরেন্টের চঞ্চল কর্মচারীরা যেন এখন মূর্তির মতোই দন্ডায়মান। পরিবারের কথা ভেবে ওরাও শংকিত হয়ে পড়েছে।
চা পান ও রুটি সহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য এবং নানা পণ্য দোকানে কিংবা ফেরি অথবা লঞ্চে ঘুরে বিক্রি করা ভাসমান ব্যাবসায়ীরা ইতিমধ্যে অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন – যাপন করছেন। পদ্মা নদী পারাপারে লঞ্চ, ট্রলার ও সিবোটে পর্যাপ্ত যাত্রী মিলছে না। ফেরিতেও নেই কাংঙ্খিত যাত্রী বা পরিবহন। শিমুলিয়া ঘাট বর্তমানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে কোলাহলরত এসব সহস্রাধিক কর্মচারীরাও এখন বেকার হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফেরিঘাটে ফেরির জন্য দন্ডায়মান দক্ষিণাঞ্চলের পরিবহনে যাত্রীদের নিকট ঘুরে ঘুরে রুমাল চিরুনী ও বাচ্চাদের খেলনা বিক্রেতা জলিল ( ৩৫ ) জানান, ” পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পূর্বে টুকটাক ব্যাবসায় আল্লাহ্ ভালোই রাখছিল। উদ্বোধনের পর ফেরিঘাটে লঞ্চঘাটে যাত্রী খুবই কম। আমাগো সংসার চালানো দায় অইয়া পড়ছে। কই যামু, কি কইরা খামু ” আমাদের প্রতিনিধির নিকট তার মনের অব্যক্ত কথা বলতে বলতে দু’চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো।
হাতেম ( ২৭ ) নামক ফেরি ও লঞ্চে ঘুরে ঘুরে ডিম বিক্রয়কারী তার ডিমের ঝুরি দেখিয়ে জানান, স্যার বেবাক ডিম ঝুরিতেই রইয়া গেছে। কার কাছে বেচুম! সংসার চালামু কেমনে? এরকম অসংখ্য হকারের ক্রন্দনরত কথা শিমুলিয়া ঘাটের আকাশ – বাতাস মুখরিত। এ ব্যাপারে ওরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সর্ম্পকিত খবর সমূহ.
November 21, 2024