জান্নাতুল ফেরদৌস, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে শত-শত একর জমির ফসল, ফলজ বাগান ও মূল্যবান গাছগাছালি
হুমকির মুখে ঐ ৩গ্রামের ৫হাজারেরও বেশি পরিবার।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুরক্ষায় বিশাল এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বাঁধ নির্মাণ ও নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের কারনে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ভাঙন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে বিপুলসংখ্যক এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে মানববন্ধন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর, মুন্সিপাড়া ও টিকটিকিপাড়া গ্রাম ৩টি পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হয়েছে। অব্যাহত নদী ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত নিঃশেষ হচ্ছে জমির ফসল, ফলজ বাগানসহ মূল্যবান গাছগাছালি। গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভয়াবহ ভাঙন এখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাত্র ২৫০/৩০০মিটারের মধ্যে এসে পড়েছে। এমতাবস্থায় হুমকির মুখে পড়েছে উল্লিখিত ৩টি গ্রামের ৫হাজারেরও বেশি পরিবার। গত রোববার বিকেলে টিকটিকি পাড়া এলাকাবাসী আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে নারী-শিশুসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করে অনতিবিলম্বে নদী ভাঙনরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবি জানান। জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল আলীম স্বপনসহ জাসদের একটি প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও এলাকাবাসী আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভেড়ামারা উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক এসএম আনছার আলী, পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল, পৌর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বকুল, বাহিরচর ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান আবু, বাহিরচর ইউপির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কর্তৃপক্ষ নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে যে নিরাপত্তা বাঁধ নির্মাণ করেছেন, সেকারনে নদীর স্রোত সেই বাঁধে বাধাগ্রস্ত হয়ে পাড়ে আছড়ে পড়ে ভাঙনের সৃষ্টি করে এলাকার জনজীবনকে বিপন্ন ও হুমকির সম্মুখীন করছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রভাবশালীরা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদীর তলদেশে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হচ্ছে তার কারনে সামান্য স্রোতেই নদীর পাড় ভেঙে নদী বেষ্টিত জনপদে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে পদ্মানদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।।