রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জঃআজ ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অ্যাকাডেমিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমণ্ডলী অংশ নেয়। কনফারেন্সের শুভ উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়ার মহাপরিচালক খলিল আহমদ। কনফারেন্স বক্তা হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর শফি আহমেদ।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, বাঙালি সংস্কৃতি ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা ও সম্প্রীতি-সহমর্মিতার দর্শনকে ধারণ করে পরিবর্তমান বিশ্বপরিস্থিতির উপযোগী পাঠ ও গবেষণার পীঠস্থান হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে আমরা নিরলস পরিশ্রম করছি। এক্ষেত্রে বাঙালি জাতিসত্তা নির্মাণের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সোনার বাংলা নির্মাণের রূপকল্প আমাদের লক্ষপূরণের সারথি। রবি উপাচার্য আরও বলেন, আধুনিক সুযোগ সুবিধা ও নান্দনিক অবকাঠামোয় সজ্জিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রত্যাশা– আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দুটি নদীর মোহনায় অবস্থিত নিচু জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ করা নিঃসন্দেহে বিশাল চ্যালেঞ্জ, সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখছেন, এ আমাদের জন্য পরম আনন্দের। তিনি আরও বলেন আমরা এ-ও জানি, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি, তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা অসীম। কনফারেন্সের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। কনফারেন্স শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক জনাব খলিল আহমেদ।