এস এম সোহেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাঘাটায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সহ দুইজনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা অতিরিক্ত দায়রা জর্জ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, জেলার সাঘাটা উপজেলার ওসমানের পাড়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেন সরকারের মেয়ে শিউলী বেগমের সাথে ২০১৫ সালে পার্শ্ববর্তী কামালের পাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে ছাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। কিন্তু ছাইফুলের নানা অপকর্মের কারণে স্ত্রী শিউলী বেগমে সাথে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এরই এক পর্যায়ে ২০১৭ সালে একটি মাদক মামলায় ছাইফুল ওরফে বাটপার ছাইফুল জেলে যায়। তখন শিউলী বেগম বাবার বাড়ীতে চলে আসে। কয়েক দিন পর ছাইফুল জামিনে মুক্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বছরের ২০ জুলাই পারিবারিক বিরোধের জেরে স্বামী ছাইফুল ইসলাম ওরফে বাটপার সাইফুল তার প্রথম স্ত্রীর ভাই আব্দুল করিমকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলী বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য কামালেরপাড়া ইউনিয়নের বসন্তেরপাড়া গ্রামের একটি পায়খানার সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয় তারা।
৩০ জুলাই সাঘাটা থানা পুলিশ ওই সেফটি ট্যাংক থেকে গৃহবধূর শিউলীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহত শিউলীর ভাই আজিজুর রহমান বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় ৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত ছাইফুল ও তার সহযোগী আব্দুল করিমকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার আদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর ৩ আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি। তিনি সংবাদ কর্মী বৃন্দদের জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতিতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।