মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজারঃ কক্সসবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলায় বিশাল ঈদগাঁও কোরবানির গরু- মহিষের বাজার আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।
পশুর হাটের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা ও জালনোট সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
বাসস্টেশন সংলগ্ন স্থায়ী গরুর বাজারে ৫ জুলাই সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশুর হাটের উদ্বোধন করা হয়।
তবে ১ জুলাই থেকে কোরবানির বাজারে সকল প্রকার বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো বাজার এলাকা সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক সু-নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হয়েছে ঈদগাঁওর বৃহত্তম কোরবানির এ পশুর হাট।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সহ সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসেছে এ পশুর হাট। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় সামলানো, বাজারে ঢুকা ও বের হওয়া মনিটরিং, তাপমাত্রা পরিমাপকরণ, দুর-দুরান্ত থেকে আগত পশু বেপারীদের থাকার ব্যবস্থাকরণ, সার্বক্ষনিক মেডিকেল টিমসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েই পশুর হাট শুরু হয়েছে বলে জানান ইজারাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স আর. এন এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমজানুল আলম কোম্পানী।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, ভিড় সামলানো সহ বিধিনিষেধসমূহ প্রতিদিন মাইকে প্রচার করা হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্রে প্রকাশ, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এ পশুর হাট ঈদগাঁও বাসস্টেশন সংলগ্ন মহাসড়কের দু’পাশ হয়ে ঈদগাহ কলেজ গেইট এলাকার উন্মুক্ত স্থানেও সম্প্রসারিত হয়েছে।
গত করোনা মহামারির দুঃসময়েও সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে অনেক চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে সর্বসাধারণের সেবার মানসিকতায় সরকারি বিধি মোতাবেক ঈদগাঁও গরুর বাজারটি ইজারা নিয়েছিলেন বলে জানান ইজারাদার।
এছাড়া পশু কেনা-কাটার জন্য দিন-রাত ২৪ ঘন্টা পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করেছেন। পশু গাড়ীতে উঠা-নামানোর ক্ষেত্রে উচু স্তুপের ব্যবস্থাসহ অনলাইনের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সুবিধা ও রয়েছে বলে দাবি করেন পশুর হাটের ইজারাদার রমজানুল আলম কোম্পানি।
তিনি বলেন, বৃহত্তর ঈদগাঁওর ইসলামপুর বাজার, নতুন অফিস বাজার, পোকখালীর গোমাতলী বাজার, চৌফলদন্ডীর নতুন মহাল বাজার ও ইসলামাবাদেথ ডান্ডী বাজারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পশুর হাটের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে।
ইজারাদার রমজান অভিযোগ করেন, ঈদগাঁও বাসষ্টেসনের মুখে ইদগড় রোডের মাথায় ঈদগাঁও ইঊনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতি গরু, ছাগল, মহিষ থেকে ৩০০ টাকা করে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। তিনি এসব হাটে যারা অবৈধ কোরবানির পশুর হাট বসিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।