নূর ইসলাম,বিরামপুর,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার চড়ারহাট শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে দূর্ণীতি অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা।
কলেজের একাডেমিক ভবনে বুধবার এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুর রহমান। এসময় অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বলা হয় কলেজের বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাত করেছেন অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষের সেচ্ছাচারিতার কারনে শিক্ষকেরা সিনিয়র স্কেল থেকে বঞ্চিত হওয়া্ন সহ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যার কারনে ২ বছর পূর্বে নির্মিত নতুন ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে না।
সম্মেলনে আরও বলা হয় ২০১৩ সাল থেকে কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি নাই। ফলে শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন নিয়মিত বেতন নিতে পারেন না। গত ৫ জানুয়ারী অধ্যক্ষ এডহক কমিটি গঠন করে। এরপর থেকে তিনি কারো সাথে যোযোযোগ রাখেন নাই এবং গত ৮ জানুয়ারী হতে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত আছেন। এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে গত ১৮ জানুয়ারী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিনিয়র শিক্ষকদের সম্মতিতে প্রভাষক এমদাদুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। পরে অধ্যক্ষ হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করে এডহক কমিটি স্থগিত করেন। এছাড়াও তিনি দিনাজপুর সহকারী জজ আদালতে তাকে সাময়িক বরখাস্তের উপর মামলা করেন। উক্ত মামলায় গত ২০ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা হয় বিবাদী পক্ষ যাতে অধ্যক্ষের কাজের উপর বাধা সৃষ্টি করতে না পারেন। ওই আদেশের পরও তিনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। ফলে শিক্ষক কর্মচারীদের গত এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ভাতা বন্ধ সহ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে।
অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এডহক কমিটিতে যাদের নাম দেয়া হয়েছিল সেখানে কমিটিতে সভাপতির যে নাম এসেছে সেটা ছিলনা। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে মামলা করে সেটাকে স্থগিত করেছেন। তিনি বলেন আমি ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত কলেজে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু তার কক্ষে এডহক কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকেরা তালা ঝুলিয়েছে। তাকে কলেজে আসলে মারধর করার হুমকিও দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কমিটি গঠন সহ সব সমস্যার সমাধানের কাজ তিনি করে যাচ্ছেন।