মোঃ মজিবর রহমান শেখঃসামাজিক আন্দোলন গড়ে তোল, যুব সমাজ রক্ষা কর’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের কেয়ারীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদক বিরোধী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন মাদক প্রতিরোধে সর্বাত্তোক সহয়োগিতার আশা ব্যক্ত করেছেন। অপরদিকে স্থানীয়রা বলছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
শনিবার (৬ আগষ্ট) পড়ন্ত বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে কেয়ারীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা এ সব কথা বলেন। আউলিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলা সহকারি পরিচালক সৌমিক রায়, ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন, আউলিয়াপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবোধ চন্দ্র সেন, ইউপি সদস্য সচিন্দ্র নাথ, কেওয়ারীগাঁও যুব কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোক্তা জুয়েল রানা প্রমুখ। কেওয়ারীগাঁও যুব কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোক্তা জুয়েল রানা বলেন আমরা সংগঠনের উদ্যোগে সম্মিলিত ভাবে অনেক কে মাদক সেবন থেকে বিরত রেখেছি। আমাদের প্রতিবাদে অনেক মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং এই গ্রামকে মাদক মুক্ত করেই ছাড়বো। ওসি কামাল হোসেন বলেন , অন্যান্য জেলার তুলানায় এ ঠাকুরগাঁও জেলায় মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রতি মাসে ঠাকুরগাঁও থানায় ৫-৭টি মামলা দায়ের হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা সংখ্যায় কম। স্থানীয় জনগণের থেকে বেশী শক্তিশালী নয়। তারা এলাকায় হয়তো দুই একজন আছে। সে তুলনায় স্থানীয়রা অনেক। এর জন্য আমাদের সৎ ইচ্ছার প্রয়োজন। নিজেদের সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেন এবং সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহবান জানান তিনি। সহকারি পরিচালক সৌমিক রায় বলেন, বাংলাদেশের কারাগার গুলোতে মাদক সংক্রান্ত মামলার আসমী ৭ শতাংশ। এই মাদক সমস্যা না থাকলে অপরাধ প্রবনতা কমে যেত। ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সন্তাদের পুলিশ দিয়ে শাসন করা যাবে না, পিতা-মাতাকেই শাসন করতে হবে। সন্তানেরা অবসর সময়ে কি করছে, সে বিষয় গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। তাই সকল পিতা-মাতাকে সন্তানদের খেয়াল রাখার আহবান জানান, পুলিশ সুপার। উল্লেখ্য, কেওয়ারীগাঁও গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পুলিশ মাদক আসামীকে ধরছে, থানায় নিয়ে যেতে, না যেতেই পথে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এই এলাকায় ডিবি পুলিশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। আরেক ব্যক্তি বলেন মাদক ব্যবসায়ীরাও ভালো হতে চাই, কিন্তু কতিপয় দুস্কৃতি লোকজন তাদের ভালো থাকতে দেয় না। এব্যাপারে পুলিশের সম্পৃক্ততার কথাও জানালেন তারা।
সর্ম্পকিত খবর সমূহ.
November 23, 2024