মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃআপনি নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার গোসাই মহারাজের গোসাই কাচারির কথা। জমিদারি আমলের স্মৃতি বহনকারী এই গোসাই কাচারি কালের আবর্তে প্রায় বিলীন হলেও শেরপুরের মানুষের কাছে এর গুরুত্ব এখনো বর্তমান। এই কাচারি অযত্নে ও অবহেলায় হয়ে উঠেছিল মাদকের আড্ডাখানা। এ অঞ্চলের মানুষের আবেগের কথা মাথায় নিয়ে অন্ধকারে ম্রিয়মান সেই কাচারিতে আলো জ্বালাতে এগিয়ে এলেন এক মা জননী। তার ইচ্ছে হলো এই স্মৃতি চিহ্নটুকু জাগিয়ে রাখতে শেরপুরের মানুষের মনের মণিকোঠায়। ” মাটির আলো”র মা জননী হলেন শেরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন।
তিনি মনন আর ভালবাসা দিয়ে পরম যত্নে শত বছর পর ” মাটির আলো” জ্বালিয়েছেন সেই স্মৃতিময় গোসাই কাচারিতে। জরাজীর্ণ সেই কুটিরে এখন প্রবাহিত হচ্ছে প্রাণের সঞ্চারণ। ভঙ্গুর মলীন সেই কাচারি পেয়েছে এখন নতুন রূপ। নতুন সাজে, নতুন রূপে, নতুন পরিচয়ে শেরপুরবাসীর সম্মুখে হাজির হয়েছে সেই গোসাই কাচারি। নাম দেয়া হয়েছে “মাটির আলো”।
শেরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন মাটি মানেই খাঁটি। শেরপুরের মানুষ এই কাচারিতে খুঁজে পাবেন জ্ঞানের আলো। মানুষ খুঁজে পাবে এক ভিন্ন পরিবেশ। মন থেকে চাইলে কারো হাতের স্পর্শে একটা জরাজীর্ণ কাচারি হয়ে উঠতে পারে প্রাণবন্ত জ্ঞানের বাতিঘর। তিনিও তাই চেয়েছেন। তিনি চেয়েছেন এখানে জ্বলুক জ্ঞানের আলো। তিনি চেয়েছেন এই স্মৃতি চিহ্নটুকু যেনো চলে না যায় লোভাতুর কারো দখলে। মানুষের প্রিয়াঙ্গন যেনো থাকে মানুষের করতলে। তিনি ভেবেছেন শেরপুরের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠতে পারে গোসাই কাচারির প্রিয় এই অঙ্গন ।
তিনি আহ্বান জানিয়েছেন চলে আসুন, “মাটির আলো” র ঠিকানায়। আপনার অবসর কাটুক মাটির আলোয়, প্রাণের স্পন্দনে।
আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই “মাটির আলো”র মা জননী শেরপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন কে। আমি তার ভবিষ্যৎ কর্তময় জীবনের সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।