মোঃ মহিউদ্দিন,ভোলা সদরঃঅফিসার ইনচার্জ ভোলা সদর মডেল থানা, ভোলার তত্ত্বাবধানে এস.আই গোপাল কুন্ডু এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম ভোলা সদর থানাধীন পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডস্থ ওয়েষ্টার্নপাড়া মোসলেহ উদ্দিন স্টোর নামক মুদি দোকানের ভিতর থেকে জনৈক ক্রেতার ব্যাগ ভর্তি নগদ ৩,১৫,২০০/-(তিন লক্ষ পনের হাজার দুইশত) টাকা, একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ও একটি হাত ঘড়ি চুরি যাওয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে বাপ্তা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ আসামি শহিদ (৫২) এর নিজ বসতবাড়ি হতে চোরাইমাল উদ্ধার পূর্বক গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী খোকন (৫৩) জানান তিনি একজন দোকান ব্যবসায়ি। গত ২০/০৮/২০২২ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.১৫ ঘটিকার দিকে ভুক্তভোগী তার দোকান বন্ধ করে দোকানের বিক্রয়কৃত নগদ ৩,১৫,২০০/-(তিন লক্ষ পনের হাজার দুইশত) টাকা, একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ও একটি টাইটান হাত ঘড়ি একটি নীল কাপড়ের ব্যাগে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।পথিমধ্যে রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী ওয়েষ্টার্নপাড়ার মোসলেহ উদ্দিন স্টোর নামক মুদি দোকানে টাকার ব্যাগটি পাশে রেখে কেনাকাটা করার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সিগারেট ক্রয়ের জন্য দোকানে প্রবেশ করে। ২১/০৮/২০২২ তারিখ রবিবার রাত অনুমান ০০.১০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ভুক্তভোগীর টাকার ব্যাগ ও ব্যাগের ভিতরে থাকা মোবাইল ফোন এবং হাত ঘড়িটি নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় আশেপাশে অনেক খোজাখুজির পরেও টাকা ভর্তি কাপড়ের ব্যাগটি পাওয়া যায়নি।
পরবর্তিতে ভুক্তভোগী ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশের সরণাপন্ন হলে ভোলা সদর থানার একটি চৌকস টিম তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোর সনাক্ত পূর্বক অনুসন্ধান শুরু করে।অদ্য ২১ আগস্ট সকাল ০৮.৩০ ঘটিকায় অভিযুক্ত পেশাদার চোর শহিদ (৫২) কে বাপ্তা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ নিজ বসতবাড়ি হতে চোরাইমাল উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জানায় যে, আসামি একজন পেশাদার চোর।পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি শহিদ ভুক্তভোগী খোকনকে অনুসরণ করে দোকানে প্রবেশ করে এবং কৌশলে টাকা ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়।পরে মোবাইল ও হাতঘড়িটি পুকুরে ফেলে দেয়।তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাইকৃত মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
ভোলা জেলার পুলিশ সুপার ব্যবসায়িদের সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানান।এতে করে অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিক তা পুলিশের নজরদারিতে আসবে এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যাবে। এর ফলে অপরাধ প্রবণতা কমবে এবং অপরাধীরা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে নিরুৎসাহিত হবে।