মোঃসোলায়মান হোসাইন সোহান,কাশিমপুর থানা প্রতিনিধিঃগাজীপুরের কাশিমপুরে শিক্ষকের জেদের বশে মেহেদী হাসান (১৬) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। সারদাগঞ্জ আলতাফ মাস্টার ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এসএসসির পরীক্ষার্থী ছিল ওই ছাত্র। দিনমজুর পিতার একমাত্র ছেলে লেখাপড়ায় আগ্রহ থাকলেও ঐ প্রতিষ্ঠানের দাবিকৃত ৪০ হাজার টাকা না দিতে পারায় কলেজ প্রধান হাবিবুর রহমান পরীক্ষা দেয়া থেকে তাকে বঞ্চিত করেন। করোনার সময় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের বেতন ও ফরম ফিলাপ বাবদ ওই শিক্ষার্থীর কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। একজন দিনমজুরের পক্ষে এককালীন এত টাকা দেয়া সম্ভব হয়নি বিধায় তাকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়নি ওই শিক্ষক। পরীক্ষা দেয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থাকায় তার মা-বাবা বিভিন্ন উপায়ে ২৫ হাজার টাকা জোগাড় করে স্কুল প্রধান হাবিবুর রহমানের কাছে গেলেও মন গলেনি। পুরো ৪০ হাজার টাকাই চায় তাদের। শিক্ষার্থীর মা খাদিজা আক্তার জানান, আমাদের না জানিয়ে আমার অসহায় ছেলেকে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন, ফলে কম বেতনের এমপিও স্কুলে ভর্তি করতে পারিনি। পরে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করেছে। কিন্তু এসএসসির ফরম ফিলাপ কেন এভাবে করলো না।৪০ হাজার টাকা চেয়েছে, ২৫ হাজার দিলাম, তবুও কেন আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে পরীক্ষা দিতে দিলো না। ছেলের ভবিষ্যৎ ওই মাস্টার ধ্বংস করে দিলো। এর দায় তাকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে কাশিমপুর থানা এবং উপজেলা মাধ্যমে শিক্ষা অফিস ও জেলা মাধ্যমে শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান। আলতাফ মাস্টার ডিগ্রি কলেজের প্রধান হাবিবুর রহমান বলেন, বেতন, কোচিং ও ফরম ফিলাপ সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা পাওনা আছে। তবে ফরম ফিলাপের লাস্ট ডেট শেষ হওয়ার অনেক পরে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছিল তাই আমি রাখিনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ শাহরিয়ার মঞ্জিল বলেন, ফরম ফিলাপ করাতে না দেয়ায় এক ছাত্র আলতাফ মাস্টার ডিগ্রি কলেজের নামে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।