কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে ৩ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে মূল আসামী মোঃ আব্দুল গনি (২২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নাগেশ্বরী উপজেলার আক্ষরনগর পোলাদীরপাড় গ্রামে।
পুলিশ জানায়, মামলার বাদী মোঃ বাবু মিয়া প্লাষ্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজের জন্য ঢাকায় থাকেন। দাম্পত্য কলহের কারনে ঘটনার তিন মাস আগে বাদীর স্ত্রী কালী আক্তার রাগ করে তার বাবার বাড়ী মুন্সিগঞ্জে চলে যায়। বাদী এবং বাদীর স্ত্রীর অবর্তমানে তাদের তিন কন্যা সন্তান মোছাঃ হাফছা আক্তার খুশি(৯), মোছাঃ আরাফিয়া আক্তার(৩) এবং মোছাঃ রাফিয়া আক্তার(৩) বাদীর ছোট বোন শাহিদা বেগমের বাড়ীতে থাকেন। তিনজনের মধ্যে হাফছা আক্তার খুশি(৯) স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করতেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলার আসামী মোঃ আব্দুল গনি (২২) এর সাথে বাদীর ভাতিজী মোছাঃ আঙ্গুয়ারা বেগম(২০) এর পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের শয়ন ঘরের সংকট থাকার কারণে আসামী মোঃ আব্দুল গনি এবং বাদীর ভাতিজী মোছাঃ আঙ্গুয়ারা বেগম বাদীর বসত বাড়ীতে থাকতো। এমতাবস্থায় ভিকটিম কোন এক সময় আসামী মোঃ আঃ গনি মিয়া এবং বাদীর ভাতিজী মোছাঃ আয়ারা বেগমনদ্বয়ের অন্তরঙ্গ মূহুর্ত দেখে ফেলায় আসামী মোঃ আব্দুল গনি হাফছা আক্তার খুশির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে । এঅবস্থায় ১১ সেপ্টেম্বর সকালে ভিকটিমকে তাদের বসতবাড়ীতে একা পেয়ে আসামী আঃ গনি তাদের ঘরের ভিতর ডাকিয়া নেয় এবং বিছানার উপর ফেলাইয়া শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে হাফছা আক্তার খুশির গলায় ওড়না পেঁচাইয়া বাদীর বসতবাড়ীর পূর্ব দুয়ারী ঘরের বাঁশের ধর্ণার সাথে ঝুলিয়ে রেখে ঘরটি তালাবন্ধ করে রাখে। ঘটনার বিষয়ে ঘটনাস্থল হতে হাফছা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মামলার বাদী নাগেশ্বরী থানায় এজাহার দাখিল করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুল আসামী আঃ গনিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকালে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামী মোঃ আঃ গনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ননা করেন। আসামী মোঃ আঃ গনি ঘটনার বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং মামলার সাক্ষী আসামী মোঃ আঃ গনির বিবাহিত স্ত্রী মোছাঃ আঙ্গুয়ারা বেগম এবং তার শ্বাশুরী মোছাঃ আমিনা বেগম বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নবীউল হাসান জানান, আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।