মোঃ মজিবর রহমান শেখঃঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আর কিছুদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁও জেলার মৃৎ শিল্পীরা। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজা। মণ্ডপ থেকে মণ্ডপে বেজে ওঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। পাঁচ দিনের উৎসবের পর ৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের পর ঘটবে এর সমাপ্তি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মহালয়ার দিন থেকে দেবীর আগমনী উৎসব শুরু হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিলতিল করে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা। কিন্তু প্রতিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফারাবাড়ি হাটে সবচেয়ে বড় পূজা মন্দির ফারা বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, মাটির কাঠামো নির্মাণের মূল কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন শিল্পীরা। এখন বাকি রং তুলির ছোঁয়ায় প্রতিমার রূপ যৌবনা ফিরিয়ে আনার মূল কাজ। তবে মৃৎশিল্পীরা জানান, বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ার জন্য প্রতিমা শুকাতে না পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা। তারা বলেন, টানা বৃষ্টি গেল কয়েকদিন। এরপর মেঘলা আবহাওয়া। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে তা আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির তপন দা সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার এ বছর ২০২ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকল মণ্ডপে সর্বাধিক সহযোগিতা করা হবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পুজা উপজাপন কমিটি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গা পূজা। এই দুর্গা পূজায় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থানা পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আনসার ও গ্রাম পুলিশ সেচ্ছাসেবী সদস্য। ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বলেন, সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশ তৎপর। আমি আশাকরি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।