মোঃ মহিউদ্দিন,ভোলা প্রতিনিধিঃভোলার মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ সাঈদ আহমেদ এর নেতৃত্বে মনপুরা থানার অফিসার ফোর্সের সহায়তায় মনপুরা থানাধীন মোঃ হারুন নামে হতদরিদ্র এক আচার বিক্রেতার বিকাশ একাউন্ট থেকে ৭৭ হাজার টাকা ও আমেনা নামে ৩ বছরের কণ্যা শিশুর চিকিৎসার ৫ হাজার টাকা তাঁর মায়ের বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হ্যাক করে নিয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী মোঃ হারুন (২৫) মনপুরা থানা এসে লিখিতভাবে ভাবে ডাইরি ভুক্ত করেন যে, সে একজন আচার বিক্রেতা।ভ্যানে করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আচার বিক্রয়ের জমানো ৭৭ হাজার টাকা তার বিকাশ একউন্টে ছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে এক প্রতারক চক্র তার টাকা নিয়ে যায়।
গত ২৮ আগস্ট শিশু আমেনার মা মনপুরা থানা এসে লিখিতভাবে ভাবে ডাইরি ভুক্ত করেন যে, বিয়ের পর তার ৩ জন কন্যা শিশু জন্ম হয়।পরে চতুর্থ কণ্যা সন্তান আমেনা জন্ম হওয়ায় স্বামী তাকে চেড়ে চলে যান।জন্মের পর থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত আমেনা। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি। একটু একটু করে মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিকাশ একাউন্টে টাকা জমিয়েছেন।কিন্তু গত ১৬ আগস্ট তার বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে এক প্রতারক চক্র তার টাকা নিয়ে যায়।
পরবর্তী জিডির প্রেক্ষিতে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ও বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সহায়তায় বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারপূর্বক ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন।
ভিকটিমের মোঃ হারুন ও আমেনার মা হারানো টাকা ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা মনপুরা থানা পুলিশ এবং ভোলা জেলা পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।