মোঃ কামাল হোসেন খাঁন,মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাউট গ্রামে আশা এনজিও অফিসে কক্ষ ও সিঁড়িতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কোন মরদেহ পাওয়া যায়নি। এর পর থেকে অফিসের পিয়ন হৃদয় নিখোজ রয়েছে। তবে পিয়ন হৃদয় এর পরিবারের দাবি হৃয়কে খুন করে গুম করেছে ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম। পিয়ন হৃদয় হৃদয় পার্শ্ববর্তি ছাতিয়ান গ্রামের মিন্টু হোসেনের ছেলে।
রবিবার সকাল ৮টার সময হৃদয়ের পরিবার ও স্থানীয় জনতা এনজিও অফিসে গিয়ে ঘরের মেঝে ও সিঁড়িতে রক্তের দাগ, রক্তমাখা বটি ও রক্তের দাগের উপর দিয়ে লাশ টেনে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পাই।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে আাশা এনজিওর ম্যানেজার আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করার জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে গাংনী থানা পুলিশ। ম্যানেজার আমিনুল কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকার বাসিন্দা।
নিহত হৃদয়ের মা জানান ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম ও অফিস কর্মি সাদিয়ার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তারা হৃদয়ের বিছানায় অনৈতিক সম্পর্ক করতে গেলে হৃদয় বাধা দেয়। তখন আমিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তোকে মেরে লাশ ঘুম করে ফেলব। তারপর থেকে হৃদয় রাত্রে আর অফিসে থাকে না কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম পিয়ন হৃদয়কে অফিসে আসার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। হৃদয় অফিসে আসতে না চাইলে তো চাকরি থাকবে না বলে হুমকি দেয়। এরপর হৃদয় অফিসে আসে। সকাল থেকে হৃদয়ের মোবাইল নাম্বার বন্ধ দেখে হৃদয়ের মা সহ স্থানীয় লোকজন অফিসে এসে দেখে অফিসের ফ্লোরে রক্তে মাখামাখি এবং রক্তের দাগের উপর দিয়ে লাশ টেনে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন। এসময় তারা রক্তমাখা বটি উদ্ধার করে তবে হৃদয়ের মরাদেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
গাংনী থানার ওসি জানান খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।