গুরুদাসপুর,নাটোর প্রতিনিধি,রহমত আলীঃ নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে অপহরণ করার ১২ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
এঘটনায় ছাত্রীটির মা রবিবার (২ অক্টোবর) গুরুদাসপুর থানায় বাদী হয়ে নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ (৪৮) সহ তার ভাই ফেরদৌস আহম্মেদ (৪৫) ও ফেন্সি আহম্মেদের (৪২) বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
জানাযায়, শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন। ওই ছাত্রী শনিবার ১০টার দিকে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেবার জন্য বিদ্যালয়ে যায়। পরীক্ষা শেষ হলে তাকে অপহরণ করে পালায় প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে শনিবারে অভিযোগ দায়ের করেন। এর সত্যতা থাকায় পরের দিন থানায় নিয়মিত অপহরণ মামলা রুজু হয়।
ছাত্রীর বাবা জানান, শনিবার সকালে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয় তার মেয়ে। বেলা দুইটার দিকে তার মেয়ে বাড়ি না আসায় স্কুলে খোঁজ
নিয়ে জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার মেয়েকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠে চলে গেছে। পরে জানতে পারেন তারা রাজশাহীতে গেছে। তিনি তার আত্মীয়দের নিয়ে রাজশাহী গিয়ে ভদ্রা এলাকার একটি বাসায় তাদের খোঁজ পান। তার মেয়েকে আসতে না দিলে তারা থানায় যান। ওই সময় ওই প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে নিয়ে সেখান থেকেও পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল মতিন বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েেেছ। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের
চেষ্টা করা হচ্ছে।