মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ঐ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২/৩ জনকে অজ্ঞাত করে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামী মো: কামরুজ্জামান বিবাহিত এবং তার শ্বশুড় বাড়ি ঐ ছাত্রীর বাড়ির পাশ্ববর্তী স্থানে। শ্বশুড়বাড়িতে যাতায়াতের সুবাধে ঐ ছাত্রীর সাথে কামরুজ্জামানের পরিচয় ও মোবাইল ফোন নাম্বার লেনদেন হয়। পরবর্তিতে মোবাইলে ঐ ছাত্রীকে কামরুজ্জামান বিভিন্ন কু-প্রস্তাব ও বিবাহের জন্য প্রস্তাব দেয়। এরই ধারাবহিকতায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঐ ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ের সামনে গেলে মামলার আসামী মো: কামরুজ্জামান (২৮) ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। সন্ধা অবধি ঐ ছাত্রী বাড়িতে না ফিরলে বাড়ির লোকজন তাকে খোজাখুজি শুরু করে। পরে বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে কয়েকদিন খোজাখোজির পর না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী জমা করেন। পরবর্তিতে ঐ ছাত্রীর পিতা জানতে পারেন তার মেয়েকে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার কালিগঞ্জ গ্রামের মো: আব্দুর রহিমের ছেলে মো: কামরুজ্জামান (২৮) কয়েকজন সহযোগী সহ অপহরণ করে নিয়ে গাজীপুরে তার বড় ভাইয়ের বাড়িতে আটক রেখেছেন। ঐ ছাত্রীর পিতা ও তার ভাই গাজীপুরের গাছা থানার কুনিয়া বড়বাড়ী গ্রামের জনৈক শফিকুল ইসলামের বাড়ি (কামরুজ্জামানের ভাইয়ের ভাড়া নেওয়া বাড়ি) থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেলায় নিয়ে আসেন। এ মামলায় কামরুজ্জামান সহ অন্যান্য আসামীরা হলেন, তার পিতা মো: আব্দুর রহিম (৬০), মা বাছিরন (৫৫), বোন সেলিনা আক্তার (২২), বড় ভাই মামুন শেষ (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।