মাসুম বিল্লাহ,বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুর ও সিংড়ায় নকল স্বর্ণের পুতুল দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষের নিকট হতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মুলহোতা সোহেল রানা সুইট (৪২) নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানা সুইট নাটোর জেলার সিংড়া থানার দড়িপাড়া পিপুলসন গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। বুধবার (৫ অক্টোরব) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈফ আহমেদ বলেন, নকল স্বর্ণের পুতুল দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর শেরপুর থানায় একটি প্রতারনা মামলা হয়েছে। সেই মামলার সুত্রধরে নকল স্বর্ণের পুতুলের মূল হোতা সোহেল রানা সুইটকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত এক মাস পূর্বে আত্তাব আলী প্রামানিক (৬৫) মিলাদ দেওয়ার জন্য বগুড়া শাহ সুলতান মাজারে ফকির মিসকিনদের তাবারক খাওয়ান। সেখানে তাবারক শেষ হলে ওলিমা বেগম (৫০) নামের এক দরবেশ এসে হাজির হয়ে বিভিন্ন কৌশলে তার নিকট হতে তাবারক চায়। পরে সে দোকান হতে কিছু খাবার এনে তাকে দেন। সে খায় আর দরবেশ ওলিমা বেগম তাকে ভাইয়ের মত দেখতে এ কথা বলে তাকে বোন বলে ডাকতে বলে এবং মোবাইল নম্বর নেন। এর ৩দিন পর তাকে মোবাইল করে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। পড়ে তার বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসেন। এভাবেই আশা যাওয়ার কয়েকদিন পর আশাদুল ইসলাম (২৬) এরশাদ হোসেন (৩২) ও মন্টু মিয়া (৪০) এসে তাকে জানায় একটি স্বর্ণের পতুল আছে, সেই পুতুল বিক্রয় করবে দুই লক্ষ টাকায়। এবং পুতুলটি তার সামনেই হাত ভেঙ্গে কিছু অংশ পরীক্ষার জন্য দেন আত্তাব আলীকে। পরে আত্তাব আলী স্বর্ণের দোকানে পরীক্ষা করে প্রকৃত স্বর্ণ জানতে পারে। এরপর সে বাড়িতে আসে। কিছুদিনপর ২ লক্ষ টাকা দিয়ে পুতুলটি ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জানতে পারে এটি নকল স্বর্ণের পুতুল। এ বিষয়টি ওলিমাদের জানালে তারা বিভিন্ন তালবাহানাসহ হুমকি দিতে তাকে। পরে আত্তাব আলীর বাড়ী বিশালপুর ইউনিয়নের শেরপুর ও সিংড়া সিমানা এলাকায় হওয়ায় সে শেরপুর থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে ৭ দিনের মধ্যে মূল হোতা সোহেল রানা সুইটকে গ্রেপ্তার করেন এস আই সাঈফ আহমেদ।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, মামলার সুত্রধরে জানতে পারি সোহেল রানা সুইট শেরপুর উপজেলাসহ আশেপাশের প্রায় উপজেলায় এমন প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে প্রতারনা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।