স্বপন কুমার রায়,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ আজ বিজয় দশমী।দেবীর বিদায়ের পালা। সকলের চোখে- মুখে এখন বিষদের ছাপ।কৈলাসে ফিরবেন দুর্গা। তার আগে অশ্রুসজল চোখে কণ্যাসম দুর্গাকে বরণ করে মিষ্টি মুখ করিয়ে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন বাংংলার বধুরা।
বিজয় দশমীর অবিচ্ছেদ অঙ্গ হল সিঁদুর খেলা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে সিঁদুর দান একটি লৌকিক আচার। স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদুর পরেন বিবাহিত মহিলারা
দুর্গা বিবাহিত হওয়ায় তাঁকে সিঁদুর লাগিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে বিদায় জানানো হয়।তাই দশমীর দিন মিঁদুর দান,ও সিঁদুর খেলাকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়।
দশমী বা বিজয়া দশমীর দিনে দুর্গা পুজোর সমাপ্তি ঘটে। দেবী দুর্গা এদিন প্রতি গৃহে প্রস্হান করেন।পুরান অনুযায়ী আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে বাপের বাড়ী ছেড়ে কৈলাশে গমন করেন দুর্গা। কিন্তু এই দশমী কি করে বিজয়া দশমী হল,তার উল্লেখ পাওয়া যাবে নানান পুরাণে। পুরাণে উল্লিখিত মহিষাসুর বধের কাহিনি অনুযায়ী, ৯ দিন ৯ রাত্রি মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ হয় দশভুজা দুর্গার।
দশমীর দিনে মহিষাসুর বধ করেন দুর্গা। অধর্মের উপর ধর্ম ও অসত্যের উপর সত্যের জয়ের দিন এটি।সেই জয়কে চিহ্নিত করতেই দশমীর আগে বিজয়া শব্দটি ব্যবহৃত হয়।দশমীর দিনে এই জয়লাভ বলে দিনটিকে বিজয় দশমী বলাহয়।
শাস্ত্র অনুযায়ী জানা যায় এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছেন
এতে প্রাকৃতিক বিপযর্য় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শশ্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।অন্যদিকে স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।.