মোঃ ওসমান গনি ইলি,কক্সবাজারঃ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকাল ৫ টা থেকে থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এর আগে দুপুরের পর বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাড়ে একে একে প্রতিমা নিয়ে আসা হয়। শোভাযাত্রা সহকারেও অনেকে প্রতিমা নিয়ে এসেছেন। রাস্তার দু’পাশ আর সারিবদ্ধ ট্রাকে ছিল প্রতিমা। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সুজন দাস নামে এক পূজারী বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের জন্য কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্ট খুব সুন্দর আয়োজন করা হয়েছে। মায়ের কাছে একটা চাওয়া পৃথিবীর সবাই যেন সুখে থাকে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পুজারীদের ঢল নেমেছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তরাও কাজ করছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় প্রস্তুত। প্রতিটি পয়েন্ট সাদা পোশাকে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের সুবিদার জন্য সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্পডেস্ক বসানো হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১৭টি প্রতিমা পূজা ও ১১টি ঘট পূজা সহ কক্সবাজার জেলায় ৩০৫ টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।