মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে সবুজ মাল্টা চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন আব্দুর রহমান নামে এক চাষি। ভালো ফলনের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন তিনি। মাল্টা চাষে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ছোট বড় সব গাছগুলোর প্রতিটি শাখাজুড়ে সবুজ মাল্টার সমাহার। প্রতিটি পাতার নিচে লুকিয়ে আছে শত শত ফল। দেখতে কাঁচা মনে হলেও বেশ সুমিষ্ট ও রসালো সবুজ মাল্টা। কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই চাষ হয়েছে। গাছের পরিচর্যায় ব্যবহার হয়েছে জৈব সার।
২০১৯ সালে পীরগঞ্জ উপজেলার চন্দ্ররিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান বাড়ির পাশের শুকান দীঘি নামক জায়গায় ২৩ বিঘা জমিতে ৪২’ শত বারী-১ জাতের চারা দিয়ে সবুজ মাল্টা চাষ শুরু করেন। পরের বছর থেকেই এই গাছগুলোতে নিয়মিত ফলন আসছে। বিগত বছরের চেয়ে এবার ফলন আরো ভালো হয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘অন্য জেলা থেকে মানুষ এসে বাগান দেখে চারা নিয়ে যায়। এত চাহিদা থাকে আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। দাম ভালো পেলে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।’আব্দুর রহমানের সাফল্যে সবুজ মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় যুবকরাও। তারা বলেন, এখানে সাফল্যের পর দেখাদেখি অনেক ছোট খাটো বাগান গড়ে উঠেছে। তারাও সাফল্যের পথে হাঁটছে। সুমন নামে এক কৃষক বলেন, মাল্টা চাষকে আরো প্রসারিত করতে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। পীরগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামের শিক্ষক জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘রহমানের বাগান দেখে খুব ভালো লাগলো আমিও মাল্টার বাগান করবো।‘ এবার বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছ পরিচর্যায় আব্দুর রহমানের খরচ হয়েছে সাত লাখ টাকা। ঐ বাগানের ১৪ শত মণ মাল্টা বিক্রি করে ৩৫ লাখ টাকারও বেশি আয় করার আশা তার।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ’আব্দুর রহমানের মাল্টা বাগানে বেশ ভালো ফলন হয়েছে। আমরা যতটুকু পরামর্শ ও সহযোগিতা করার করছি। প্রত্যেক গাছেই ভালো ফল এসেছে। তিনি কৃষি বিভাগের সকল পরামর্শ মেনে চলছেন। আশা করি তিনি সাফল্য অর্জন করবেন।’