মোঃ রেজাউল করিম,ঈদগাঁও,কক্সবাজারঃ ঈদগাঁও- ঈদগড় সড়কে অটো টমটমের দুই যাত্রীকে মারধর করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাত দল। অপরদিকে মোটর সাইকেলের এক আরোহীকে অপহরণ করেছে চক্রটি।
১০ অক্টোবর রাত ৯ টায় ঘটনাটি ঘটে ঈদগাঁও- ঈদগড় সড়কের ভোমরিয়া ঘোনা ফরেস্ট অফিসের অদূরে হিমছড়ি ঢালায়।
ঈদগড় থেকে ঈদগাঁও ফেরার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে সাজ্জাদ নামের ঐ যুবক। তবে তার সাথে থাকা ৩ জনকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারী দলের সদস্যরা।
অপহৃত যুবক কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়া ছড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও এবং রামু থানার পুলিশের একাধিক টিম স্থানীয়দের নিয়ে সাড়াশি অভিযান চালায়।
আহতরা হচ্ছে তৌহিদুল ইসলাম (২৬) ও মোঃ বেলাল উদ্দিন ( ২৬)। এরা দুইজনই ঈদগাঁও কলেজ গেট এলাকার হুমায়ুন ইসলামের পরিচালনাধীন ডিস্ট্রিবিউশন ডিলারের হয়ে কাজ করে। তৌহিদ ওই ডিলারের ডিস্ট্রিক্ট সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং বেলাল তাদের গাড়ির চালক।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং বসুন্ধরা মাল্টিফুড লিমিটেড এর পরিবেশক হিসেবে তারা বিস্কুট, তৈল, আটা, ময়দা ইত্যাদি বিক্রি করতে ঈদগড় গিয়েছিল।
ডিস্ট্রিবিউটর হুমায়ুন ইসলাম দাবি করেন ডাকাত দল এ দুইজনের কাছ থেকে নগদ টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের মারধর করে। আহত অবস্থায় প্রথমে তাদেরকে ঈদগাঁওর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তৌহিদ ঈদগাঁও উত্তর মাইজ পাড়ার মৃত সৈয়দ আহমদের পুত্র এবং বেলাল ইসলামপুর ইউনিয়নের বামন কাটার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, সাজ্জাদরা ৪ বন্ধু মিলে দুইটি বাইক নিয়ে ঈদগড় থেকে ফিরছিল। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ৮/১০ জনের মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র ডাকাত দল তাদের ব্যারিকেড দিয়ে জিম্মি করে। পরে ৩ জনকে ছেড়ে দিয়ে সাজ্জাদকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার এসআই কাজী গোলাম মহি উদ্দীনের নেতৃত্বে পৃথক কয়েকটি টিম এবং রামু থানার পুলিশের একটি টিম পাহাড়ে অভিযান চালায়।এসআই কাজী গোলাম মহি উদ্দীন জানান, সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ফের ঈদগাঁও- ঈদগড় সড়কে অপহরণকারী দলের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এ সড়কে যাতায়াতকারী ও পরিবহন শ্রমিকরা। স্থানীয় বাসিন্দারাও চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় রয়েছেন।