আরিফুজ্জামান চাকলাদারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ৭ নং ও ৩ নং ওয়ার্ডে সীমানা ঘেষে বসতবাড়ি নির্মাণের অজুহাতে সরকারি খালের জায়গায় জুড়ে মাটি ভরাট করার ফলে বৃষ্টি হলে ঐ এলাকায় পানি বেঁধে থাকায় জনগণের চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে,বাকাইল মেইন রোড বিশ্বাস পাড়া জামে মসজিদের পাশ দিয়ে গোপালপুর মেইন রোড পাগলের আস্তানা পর্যন্ত লিং রোড পাকা রাস্তায় গত মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে পানি বেঁধে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে।এদিকে জায়গায় জায়গায় খালের অস্তিত্ব নমুনা হিসাবে দৃশ্যমান ও আস্তানার পাশে মেইন রাস্তায় একটি সরকারি ব্রীজ এবং ব্রীজ হতে দক্ষিণে ননী বিশ্বাসের বাড়ি পর্যন্ত সরকারি খাল ভরাট হওয়ায় খালের কোন সাদৃশ্য চোখে পরে না।পথচারীরা বলেন,এই লিং রোড রাস্তা দিয়ে শতশত মানুষ চলাফেরা করে। কিছু পরিবার সরকারি খালের জায়গায় মাটি ভরাট করে বসতবাড়ি হিসাবে ব্যবহার করায় এই পানির জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে পাকা রাস্তার উপর হাটু পানি জমে। এর ফলে অচীরেই পাকা রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে সরকারি রাজস্ব। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক বলেন,হাটু পানি বেঁধে যাওয়ায় আমাদের ভীষণ দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। আয়সা নামে এক কলেজ ছাত্রী বলেন,জুতা সেন্ডেল খুলে পরনের পায়জামা হাটুর উপরে উঠিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এটা মেয়েদের জন্য লজ্জাজনক ও সামাজিক অবক্ষয়। এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাই।পলাশ সাহা ও প্রসান্ত রায় বলেন,আজিজার বিশ্বাস, পরিমল শাহা,রাজ্জাক বিশ্বাস,বিধান পাল,সরোয়ার শেখ, প্রদীপ পাল এরা ৭ নং ওয়ার্ডে নিজ জায়গায় বিল্ডিং করার অযুহাতে সরকারি খালের ভিতরে মাটি ভরাট করায় এই দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।পাকা রাস্তা ৩ নং ওয়ার্ডে আমাদের দলিলকৃত জায়গার উপর দিয়ে হয়েছে।সাধারন জনগন প্রশাসনের নিকট সাংবাদিক মাধ্যমে জোর দাবী তুলেন দ্রুত সরকারি খালের জায়গা দখলমুক্ত করে এই জন দুর্ভোগের হাত থেকে পরিত্রাণ দেওয়া।
এদিকে পৌর মেয়র মো. সাইফুর রহমান বলেন,আমি ক্ষমতায় আসার আগেই খালটি বেদখল হয়ে গেছে।খালটি পূর্ন উদ্ধারের কাজ চলছে। বিল্ডিং এর কাজ করতে গিয়ে মাটিতে খাল ভরাট হয়েছে,আমি অনেক বার ড্রেনের প্রকল্প দিয়েছি। প্রকল্প ব্যয় বেশি হওয়ায় পাস হয়নি।এখন সময় শেষে দিক বড় প্রকল্প বরাদ্দ নেই। আগামীতে জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমার বড় প্রকল্প মধ্যে এটা হবে প্রথম কাজ।