মোঃ সিফাত হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ ‘শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তর শুরু’ এই প্রতিপাদ্যে ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। একই প্রতিপাদ্যে ২৭ অক্টোবর সকাল ১০টায় সারাদেশের ন্যায় জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে দুমকি উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে দুমকি একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শেষ হয়। র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান।
অধ্যক্ষ মোঃ জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াছমিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার, সরকারি জনতা কলেজের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, দুমকি একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন, প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র লস্কর, সাধারণ সম্পাদক আ: জব্বার হাওলাদার, লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান, মাওলানা আবুল খায়ের, আমির হোসেন হাওলাদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, স্কাউট, রোভার, রেঞ্চার, গার্লস গাইড, আইসিটি জেলা এ্যাম্বাসেডর শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতীয় শিক্ষক দিবসে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করনের জোড় দাবী জানান। শিক্ষার গুনগত মানের পরিবর্তনের জন্য একই পাঠ্যক্রমে শিক্ষকদের মধ্যে অভিন্ন বেতন ব্যবস্থা ভেঙ্গে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য যে, সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্বেও দুমকি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা জাতীয় শিক্ষক দিবসে অংশগ্রহন করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, আমরা কোন সরকারি নির্দেশনা পাইনি। জাতীয় শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াছমিন বলেন, তাকে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সংযুক্ত কপিসহ পত্র দেওয়া হওয়া সত্বেও তাহার শিক্ষক ও কোন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষকরা জাতীয় দিবসে উপস্থিত না থাকায় দু:খ প্রকাশ করেন।