এসকে এম হুমায়ুন,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের তালিকা ভূক্ত মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে তালিকা-বহির্ভুতদের দেওয়া হয় মৎস্যজীবীদের নির্ধারিত চাল।গোপালপুর ইউনিয়নের বিষখালী গ্রামের হতদরিদ্র ১৫ থেকে ১৭ জন মৎস্যজীবীদের কার্ড ও তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাল পাচ্ছেনা এতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাযায়,৩১ অক্টোবর কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ববরাবর লিখিত অভিযযোগ করেছে বঞ্চিত পরিবার গুলো।লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন,আমরা প্রতিনিয়ত সাগরে মৎস্য শিকার করি এবং সরকারের নিয়ম মেনে অবোরোধের সময় আমরা আমাদের মৎস্য শিকার বন্ধ রাখি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার আওতায় ২০১১ সাল থেকে আমরা নিয়মিত চাল পেয়ে আসছি।কিন্তু কার্ড নিয়ে চাল আনতে গেলে সেখান থেকে চাল না দিয়ে কতৃপক্ষ আমাদের ফিরিয়ে দেয়।
এবিষয়ে বঞ্চিত পরিবার গুলো গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিকদার আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে গেলে তিনি বলেন রাজিব মেম্বারের কাছে যাও,রাজীব মেম্বারের কাছে গেলে বলে চেয়ারম্যান এর কাছে যাও তোমাদের নতুন তালিকায় নাম নেই। আমরা নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার কাছে এসে লিখিত অভিযোগ করি। তিনি বিধিমোতাবেক ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য কর্মকর্তার কাছে পাঠান তখন মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।তার সাথে যোগাযোগ করা হলে ২ তারিখে দেখা করতে বলেন।এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করেন।এ সময় কর্তৃপক্ষের নানা মুখি অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিকদার আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন,এ ব্যাপারে আমার জানা মতে এমন কেউ নেই কিন্তু আমি ইউপি সদস্য রাজীবের কাছে সব দায়িত্ব দিয়েছি।অনিয়ম হলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা নিব।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে ইউপি সদস্য রাজীব বলেন,আমি যা করেছি চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী করেছি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার বিশ্বাস মুঠো ফোনে জানান,এধরনের কোন ঘটনা ঘটলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেব এবং অভিযোগ পেলে আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয় পদক্ষেপ নিব।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম তারেক সুলতানের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেনি।