মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহরে মানুষের জানমাল রক্ষা, চুরি-ডাকাতি, ছিনতায়, চাঁদাবাজি, চোরাচালানি ও মাদক কারবার সহ সকল প্রকার সংঘটিত অপরাধ দমনের লক্ষে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় বড়বাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকরাম আলীর উদ্যেগে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শহর হতে সমির উদ্দীন ডিগ্রী কলেজ, রুপগঞ্জ, শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ ও মের্সাস আলী ফিলিংস পর্যন্ত ১৬ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন। বালিয়াডাঙ্গী
উপজেলায় প্রবেশের প্রতিটি রাস্তার দাঁড়ে দাঁড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এছাড়া শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান মসজিদ ও বড় মার্কেট ছাড়াও গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়। এ কারণে সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পথচারী, দোকানদার সহ সবাই এর সুফল ভোগ করছেন। বড়বাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকরাম আলী সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় আগের তুলনায় চুরি-ডাকাতি, ছিন্তাই অনেকাংশে কমে যাবে বলে অনেকেই ধারণা প্রকাশ করে। ব্যবসায়ীরা র্নিদ্ধায় ব্যবসা-বানিজ্য চালিয়ে যাবেন অভিমত অনেকের। বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি খায়রুল আনাম বলছেন, উপজেলাবাসীর নিরাপত্তা জানমাল সহ তাদের সম্পদ রক্ষায় প্রতিনিয়ত পুলিশি ডিউটির পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যানেন উদ্যেগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডাঃ মোজাম্মল হক বলেন, আমাদের উপজেলার কৃষকেরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে থাকে তাই এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন রকমের মানুষের আনাগোনা হয়ে থাকে। দিন ভালোভাবে কাটলেও ভয় হয় রাতে কখন যে কি হয়ে যায়। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবের উদ্যগে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরে আর সে ভয় নেই বলে তিনি জানান। রুপগঞ্জ গ্রামের আনসারুল বলেন, আমাদের বিভিন্ন ব্যবসার মধ্যে কয়েকটা পুকুরে মাছচাষ করে আসছি। চোরের উৎপাতে মাছচাষ বন্ধই করতে চেয়েছিলাম কিন্ত চেয়ারম্যানের সিসি ক্যামেরার কল্যাণে এখন মাছ চুরি বন্ধ হবে বলে মনে করি।
উপজেলা শহরের দোকান পাহাড়ায় থাকা নাইট গার্ডরা বলেন, আগে আমরা রাত জেগে দোকান পাহাড়া দিলেও অনেক সময় চোর-ডাকাত আমাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে চুরি করত। স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্যেগে সিসি ক্যামেরা বসানোর পর আর এমন দূর্ঘটনা ঘটবেনা আমরাও নিরাপদে আছি। বড়বাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকরাম আলী বলেন, উপজেলার উত্তর পশ্চিমে ১২ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে ভারত। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, মাদক সহ নানান অপকর্ম একটু বেশী হয়ে থাকে। অপকর্ম প্রতিরোধে উপজেলা শহরে আপাদত ১৬ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে পরবর্তীতে আরো দ্বিগুন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এতে উপজেলাবাসি এখন সিসি ক্যামেরার সুফল পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।